ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাঙালি যুদ্ধ করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে অনেকে তা চিন্তাও করতে পারেনি। আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তিকে পরাজিত করে মাত্র ৯মাসে প্রায় শূন্য হাতে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছিল। ধাপে ধাপে জাতিকে সংগঠিত করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সুদীর্ঘ্য জেল, জুলম, অত্যাচার সইতে হয়েছিল। সেই জাতির পিতাকে পরাজিত শক্তির দোসররা মেনে নিতে পারেনি বলেই বারবার আঘাত করে চলেছে। ওদের দু:সাহসের সীমা ছাড়িয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।
বুধবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর ও সংস্থাসমূহের উদ্যোগে আগারগাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত ডাকভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের কমকর্তা ও কর্মচারি গণ অংশ গ্রহণ করেন। ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুনুর রশীদ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।
একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর সেনানী মোস্তাফা জব্বার যুদ্ধদিনের অভিজ্ঞতার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, পাকিস্তানীদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে আমরা অনেকেই যুদ্ধ করেছি। এদেশের কিছু রাজাকার, আলবদর এবং আলশামস ছাড়া গোটা বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তার শেখানো আদর্শ বুকে ধারণ করে বিনা বাক্যে এবং বিনা প্রশ্নে যুদ্ধে গিয়েছে। সশস্ত্র যুদ্ধের বাইরে যারা ছিলেন, তাদের প্রত্যেকেই বিশেষ করে দেশের মা বোনেরা যুদ্ধে সহায়তা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শর দেখানো পথে তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তির পথ ধরে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার চলমান ডিজিটাল বিপ্লব এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্ববান জানান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মহাসড়ক নির্মাণের যে দায়িত্বটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পালন করছে তার সফলতার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নন বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই বিশ্বে আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে গর্ব বোধ করতে পারি। বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।