অভিযোগের দুই মাসে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে না নিলেও গোয়েন্দা সংস্থার জালে ধরা পড়েছে গ্রামীণফোনের কাছে তথ্যের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার খন্ডচিত্র। গণমাধ্যমের শিরোনামে গ্রামীণফোনের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার সহ গ্রেফতার ৪। আর এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে গ্রামীণফোন গ্রাহকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তাই পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে দ্রুত আইনের অধীনে এনে জিপির বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে েএই দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বিষয়টি আগে থেকেই আঁচ করে গত ৪ অক্টোবর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে ১৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিয়ে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে এ ধরনের অপরাধ সংগঠন বন্ধ করা যেতো বলে দাবি সংগঠনটির।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রাহকরা তাদের নিরাপত্তা ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করলেও গ্রামীণফোন, মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেউই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বলা যেতে পারে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এরফলেই অপারেটরটির মাধ্যমে গড়ে উঠছে নতুন প্রতারক চক্র। তাাদের মাধ্যমে গ্রাহকদের সংরক্ষিত সকল তথ্য পাচার হচ্ছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে নিরপরাধ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
করোনা মহামারীর মধ্যেই গ্রামীণফোন বিনা নোটিশে ১৪টি নিজস্ব গ্রামীণ সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে অদক্ষ অপেশাদার লোক দিয়ে কাস্টমার কেয়ার পরিচালনা করতে শুরু করায় এমন সমস্যার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি বলছে, আইন শৃঙ্খলা জিপি প্রমাণ করেছে তার কোনো গ্রাহকের গোপনীয়তায় আর নিরাপদ নয়। তারা সম্পূর্ণরূপে গ্রাহকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফলে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে জিপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আরো অনুসন্ধান করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে একটি স্বতন্ত্র কমিটি গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।