কল্যাণ তহবিলে টাকা না দিয়ে উপরন্তু কর্মচারী ইউনিয়ন বিলুপ্ত করতে এবার এক নোটিশেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে সব কর্মীকে ছাঁটাই করেছে অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে চ্যাকরিচ্যুত ৯৯ কর্মীকে কাজে পুণর্বহালের দাবি জানিয়েছে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই গত ২৫ অক্টোবর এই গণ-ছাঁটাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের হয়ে পল্লীফোন ও নকিয়া মোবাইলের সেবা দেয়ায় কর্মরত এই পেশাজীবীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়ন বাংলাদেশ লিয়াজো কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন স্বপন, যুব বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আক্তার সহ অন্যান্যা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চাকরিচ্যুত সকল কর্মীকে পূনর্বহাল করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১লা নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, পরদিন প্রধানমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম অধিদপ্তর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ৩রা নভেম্বর গ্রামীণ টেলিকম, প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানবন্ধন এবং ৫ নভেম্বর অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালে প্রথম মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৪ কর্মী। পরে বকেয়া পাওনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ৯৩টি মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান কর্মীরা। ঢাকার শ্রম আদালতে সব মিলে ১০৭টি মামলা করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ১৪ কর্মী আরও ১৪টি মামলা করেন পাওনা টাকার জন্য।