দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ‘বল প্রয়োগ’ বন্ধ করার পাশাপাশি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন আইএসপিএবি ও কোয়াবকে ইন্টারনেট ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। একইসঙ্গে ১২ ঘণ্টা আগেও ইন্টারনেটের মতো জরুরী সেবাকে সচল রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করে কাল বিলম্ব না করে প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততায় উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’- কে অচলাবস্থার দিকে ঠেলে না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।
সমস্যার সমাধানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সিটি করপোরেশন, মন্ত্রী ও সংগঠনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানন তিনি।
তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া ঝুলন্ত তার কাটা কেনো সমাধান নয়। এতে গ্রহাকরা ইন্টারনেট সেবা বঞ্চিত হন। তেমনি আগামীকাল থেকে প্রতিদিন ৩ ঘন্টার ইন্টারনেট বন্ধের যে কর্মসূচি তাতেও গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হবেন।
মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, “ বর্তমানে ইন্টারনেট জনগণের মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাংক, বিমা, অফিস, আদালত, মোবাইল ব্যাংকিং ও মোবাইল সেবা সহ প্রায় সবকিছুই পরিচালিত হচ্ছে ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে। ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের এ কর্মসূচি তাদের দৃষ্টিতে যৌক্তিক হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। পিক টাইমে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আদালত, ব্যাংক, সরকারি বেসরকারি অফিস, মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার সেন্টার ও মোবাইল ব্যাংকিংও বন্ধ থাকবে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকরা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন ঘটতে পারে। সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিল্প কারখানা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে নির্বিকার থাকাটাও আত্মঘাতি।
মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, “ইন্টারনেট বন্ধ রাখা ভোক্তার অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারার পরিপন্থি। এই সমস্যা ১-২ বছরের নয়। বিকল্প ব্যবস্থা না করে ঝুলন্ত তার কেটে দিলে সেটাও গ্রাহককে ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত করার শামিল। নাগরিক স্বার্থেই সিটি কর্পোরেশন এতোটা নির্লিপ্ত হতে পারে না। তাদের উচিত হবে বলপূর্বক ক্যাবল অপসারণ না করে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে আলোচনা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এতে করে রক্ষা হবে সকল পক্ষের অধিকার।”