পূর্ব নোটিশ ছাড়াই গত আগস্ট মাস থেকে প্রধান সড়কসহ সকল সড়ক হতে ঝুলন্ত ক্যাবল অপসারণ করা শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এতে গত দুই মাসে আনুমানিক ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আইএসপিএবি ও কোয়াবকে। দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক লাখ ইন্টারনেট ও কেবল টিভি গ্রাহক। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বেকার হয়ে পড়বেন ১০০০টি বৈধ আইএসপি ও কোয়াবের প্রায় লক্ষাধিক কর্মীসহ ৩৩টি স্যাটেলাইট টিভিতে কর্মরত অসংখ্য সাংবাদিক ও কর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে ঝুলন্ত তার অপসারণের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাছে যৌক্তিক সমাধান চেয়েছে আইএসপিএবি ও কোয়াব।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিকল্প ব্যবস্থা না করে ঝুলন্ত তার অপসারণের অব্যাহত থাকলে আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা সারাদেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।
নগর সৌন্দর্যে ঝুলন্ত তার অপসারণে উত্তর সিটির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে দক্ষিণ সিটির কার্যক্রমকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেও সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠন দুটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম এবং কোয়াব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস, এম আনোয়ার পারভেজ লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
বক্তব্যে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়:
১. স্থায়ী সমাধান না করা পর্যন্ত কোনো ঝুলন্ত তার অপসারণ করা যাবে না। ২. আইএসপিএবি, কোয়াব, বিটিআরসি, এনটিটিএন এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে লাস্ট মেইল কেবল স্থাপন করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি কমিটির মাধ্যমে সরেজমিন তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাসা-বাড়ি, অফিস-ব্যাংকসহ সকল পর্যায়ের ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ৪. গ্রাহক পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা দিতে এনটিটিএন এর মূল্য সরকার থেকে নির্ধারণ করতে হবে। ৫. এনটিটিএনগুলোর (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) গ্রাম পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতের সার্বিক সক্ষমতা আছে কিনা তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
এসময় আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য আহমেদ জুনায়েদ, রাশেদ আমিন বিদ্যুত, কামাল হোসেন, সারোয়ার আলম, আসাদুজ্জামান, মো সুজন উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে কোয়াবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সোহেল, এ বি এম সাইফুল হোসেন ও নিজাম উদ্দিন মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতি ২০০ মিটার অন্তর এলডিপি (লোকাল ডিসট্রিবিউটর পয়েন্ট বা পিওসি-পয়েন্ট অব সেল) বসানো হলেও মাঠ পর্যায়ে করা জরিপে তারা দেখতে পন, এনটিটিএন কর্তৃক তা বসানো হয়েছে প্রায় ১-২ কি.মি অন্তর। এতে ২০০ মিটারের স্থলে ক্যাবল টানতে হচ্ছে ১-২ কি.মি। যাতে মূল লক্ষ্য শহরের সৌন্দর্য বর্ধনও ব্যহত হচ্ছে।