এবার রাজশাহী অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত আম ও লিচু বিনা ভাড়ায় ঢাকার পাইকারি বাজারে পৌঁছে দিতে শুরু করেছে ডাক অধিদপ্তর। ডাকের গাড়িতে এই মৌসুমী ফল পরিবহন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে ঢাকার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহীর পুটিয়া উপজেলা সম্মেলন কক্ষে টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র রাজশাহীতে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক অসিত কুমার শীল, রাজশাহীর পোস্টমাস্টার জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক, পুটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়ালিউজ্জামান, রাজশাহীর ডিপিএমজি ওয়াহিদ-উজ-জামান, রাজশাহী জিপিওর সিনিয়র পোস্টমাস্টার আমিনুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন্নাহার ভূইয়া, ওসি রেজাউল ইসলাম এবং কৃষক প্রতিনিধি হিসেবে নওশের উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে মধুপুর থেকে আনারস পরিবহনসহ চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। করোনা সঙ্কটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাগুলো সহজতর করতে সরকার ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাকসেবা চালু করেছে। এছাড়া বিনা মাশুলে করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলোতে পৌঁছানোসহ জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন ডাকসেবা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ ডাকসেবা চালু করা হয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করে, তা পানির দামে বিক্রি করে। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাওয়া তাদের অধিকার।
এর আগে, গত ৩১ মে থেকে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে বিনা ভাড়ায় লিচু পরিবহন চালু করা হয়। করোনার বৈশ্বিক ক্রান্তিকালে প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মন্ত্রীর নির্দেশে গত ৯ মে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা থেকে কৃষকবন্ধু নামে এ কর্মসূচি চালু করা হয়।