ঘূর্ণিঝড় আম্পানে লন্ডভন্ড হয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। সব মিলিয়ে এই তান্ডবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সম্ভাব্য ক্ষতি শতকোটির কাছাকাছি। সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছাড়াও ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক। অঞ্চল ভেদে ৬ ঘণ্টা, ৮ ঘণ্টা ও ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে তাদের।
তবে সেবাদাতাদের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭০ শতাংশের মতো জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে পেরেছেন তারা। আর এজন্য করোনার চাপের মধ্যেই নতুন বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। বিষয়টিকে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ বলে অভিহিত করেছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি’র মহাসচিব ইমদাদুল হক। এমন পরিস্থিতিতে এখনো যেসব স্থানে সংযোগ সচল করা সম্ভব হয়নি সেসব স্থানে গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে এমন ক্রান্তিকালে সরকার ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ব্যাকবোন হিসেবে স্বীকৃত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সূতমতে, আম্পানের তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ৬০ শতাংশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাতাসের তাণ্ডবে কাঁটা পড়ে শহর ভিত্তিক ২০-৩০ শতাংশ ক্যাবল। ঢাকার আশপাশের এলাকায় ৮০ শতাংশ সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেডিও সংযোগ। ফাইবার কাটা পড়েছে ৬০ শতাংশের ওপর।
অনেক জায়গায় নেটওয়ার্ক থাকলেও পাওয়ার ব্যাকআপ সমস্যাও মোকাবেলা করা কঠীন হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্য, মোট সংযোগের ৫০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন সেবা অব্যাহত রাখতে নতুন করে ক্যাবল ও ইক্যুইপমেন্ট স্থাপন করতে হচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় এখনো বিদ্যুত সংযোগ পুনঃস্থাপিত না হওয়ায় লাইন আপ করার পরেও অনেকেই এখনো ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছেন না।