তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মানুষেরাই দেশের ডিজিটাল বুনিয়াদ তৈরি করেছে। আইসিটি ব্যবসায়ীরাই দেশকে ডিজিটাল করছে, এগিয়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) আইবিপিসি এবং বিসিএস যৌথভাবে আয়োজিত ‘ব্লকচেইন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো অঞ্চল ইন্টারনেটের বাইরে থাকবে না। ব্রডব্যান্ড অথবা স্যাটেলাইটে হাওর, দ্বীপ সব জায়গায় ইন্টারনেট যাবে। সামনে হাওরে বসেই বিদেশের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে রেকর্ড করবে।
মন্ত্রী জানান, বছরের জানুয়ারীতে দেশে ১০০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হলেও মার্চে বেড়েছে ১৪০০ জিবিপিএস-এ। এখন এটি পৌঁছেছে ১৭০০ জিবিপিএস।
করোনা আমাদের থামিয়ে দিতে পারেনি। বরং এগিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাসময়ে কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে ডিজিটাল জীবনযাত্রার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এটি এখন শহর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার যোগ্যতা রাখি। সক্ষমতা, সাহস ও মনোবল আমাদের পুঁজি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা আইটি ব্যবসায়ী তারা সচেতন না থাকলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়ন এতো সহজে হতো না। কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই এদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ইতিহাসের অংশ হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশী কোটি টাকার সফটওয়্যার লাখ টাকায় তৈরি করছে দেশের ছেলেরাই। ব্লকচেইন দিয়েও মোবাইল অপারেটর ছাড়াও কথা বলার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে।
এখন চ্যালেঞ্জটা আরো বড় হয়েছে। মাউস আর কি-বোর্ড চিনিয়ে দিলেই হবে না। আইওটি, ব্লকচেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিক্স, বিগডাটা ইত্যাদি বিষয় শিখিয়ে দিতে হবে- যোগ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশে কম্পিউটার সমিতির দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এই ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণে প্রায় দুইশ’র মতো প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল মুনীরের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন সংগঠনের মহাসচিব মনিরুল ইসলাম, সহসভাপতি জাবেদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী, কোষাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং পরিচালক মোশারফ হোসেন ও মো. রাশেদ আলীসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।