ইউরোপিয়ান টেলিকমিউনিকেশনস স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট (ইটিএসআই), চায়না ব্রডব্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যালায়েন্স, অ্যালটিস পর্তুগাল এবং হুয়াওয়ে যৌথভাবে ফিফথ জেনারেশন ফিক্সড নেটওয়ার্ক (এফফাইভ-জি) বিষয়ক একটি সংগঠন তৈরি করেছে। পাশাপাশি, প্রবৃদ্ধিশীল শিল্পখাত নির্মাণের লক্ষ্যে ফিক্সড নেটওয়ার্ক খাতে বৈশ্বিক আপস্ট্রিম ও ডাউনস্ট্রিম অংশীদারদের এফফাইভ-জি সংগঠনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ মে) ১৭তম হুয়াওয়ে বৈশ্বিক অ্যানালিস্ট সামিটে এই আহ্বান জানানো হয়। হুয়াওয়ের বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডেভিড ওয়্যাং এই ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাসা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবক্ষেত্রেই ফাইবার সুবিধা বিস্তৃত করবে এফফাইভ-জি, তৈরি করবে নানা সেবার সুযোগ। সামগ্রিক এফফাইভ-জি শিল্পের ইকোসিস্টেমে, এফফাইভ-জি বাজার প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক অপটিক্যাল শিল্পে নতুন যুগের সূচনায় সহায়তা করবে।
এসময় ইটিএসআই ইন্ডাস্ট্রি স্পেসিফিকেশন গ্রুপ এফফাইভজি’র (আইএসজি এফফাইভ-জি) চেয়ারম্যান লুকা পেসান্দো, এমআইআইটি’র কমিউনিকেশন টেকনোলজি স্টিয়ারিং কমিটির ডেপুটি ডিরেক্টর এবং চায়না টেলিকমের টেকনোলজি স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ওয়েই লেপিং, চায়না অ্যাকাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (সিএআইসিটি) টেকনোলজি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর এবং চায়না ব্রডব্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যালায়েন্সের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আও লি, অ্যালটিস পর্তুগালের সিটিও লুইস আলভেইরিনহো এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পঞ্চম প্রজন্মের ফিক্সড নেটওয়ার্কে বাসার ফাইবারকে সবজায়গায় সর্বত্র ফাইবার সুবিধায় রূপান্তর এবং এফফাইভ-জি ব্যবহারের তিনটি প্রধান ক্ষেত্র যথা ফাইবার কানেকশন (এফএফসি), এনহ্যান্সড ফিক্সড ব্রডব্যান্ড (ইএফবিবি) ও গ্যারান্টেড রিলায়্যাবল এক্সপেরিয়েন্স (জিআরই) নিয়ে গবেষণার আহ্বান জানান লুকা পেসান্দো।
এমআইআইটি’র কমিউনিকেশন টেকনোলজি স্টিয়ারিং কমিটির ডেপুটি ডিরেক্টর এবং চায়না টেলিকমের টেকনোলজি স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ওয়েই লেপিং বলেন, ‘ফাইভজি-র মতো নতুন প্রযুক্তি ও অ্যাপ্লিকেশন বিস্তৃত পরিসরে স্থাপন ও সমর্থনের জন্য এবং সম্ভাব্য সকল অ্যাপ্লিকেশনে ফাইবার নেটওয়ার্ক ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য, এ শিল্পকে এফফাইভ-জি’র ওপর আলোকপাত করে তিনটি সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন: ট্রান্সপোর্ট, অ্যাকসেস ও কাস্টমার প্রেমিসেস নেটওয়ার্কের আওতায় সমন্বিত স্পেসিফিকেশন গঠন করা জরুরি। এটি অপ্রয়োজনীয় সামঞ্জস্যহীন প্রাইভেট স্পেসিফিকেশন কমাতে পারবে এবং অপটিক্যাল শিল্পের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অর্জনে ভূমিকা রাখবে।’
চায়না অ্যাকাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (সিএআইসিটি) টেকনোলজি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর এবং চায়না ব্রডব্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যালায়েন্সের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আও লি বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে, গিগাবিট ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৭০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিলো। ডিজিটাল অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে চীন এফফাইভ-জি অ্যাপ্লিকেশন উদ্ভাবন ত্বরাণ্বিত করছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে।’
অ্যালটিস পর্তুগালের সিটিও লুইস আলভেইরিনহো বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন, কনভারজেন্স ও সম্পূর্ণরূপে ফাইবার কানেক্টিভিটির ধারায় আমরা গিগাবিট সমাজে প্রবেশ করেছি। কার্যকরী উপায়ে গ্রাহক চাহিদা পূরণে ইউরোপে উচ্চ সক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্কের (ভেরি হাই ক্যাপাসিটি নেটওয়ার্কস – ভিএইচসিএন) কৌশলগত রূপান্তরে সামনে থেকে কাজ করতে পেরে অ্যালটিস পর্তুগাল গর্বিত। তবে, সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নাগরিক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠাম সমাজ ও দেশের উপকারে সব জায়গায়, সর্বত্র নতুন সেবা ও ফাইবার সহজলভ্য করতে পরবর্তী প্রজন্মের ফিক্সড নেটওয়ার্কে নতুন ফ্রেমওয়ার্ক গঠনে আমরা ইটিএসআই এফফাইভ-জি আইএসজি নিয়ে কাজ করছি।’
হুয়াওয়ের বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডেভিড ওয়্যাং বলেন, ‘একটি ক্রমবর্ধনশীল শিল্প অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক মানদণ্ড ও ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা উচিত। এক্ষেত্রে, সমন্বিত অপটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি ইকোসিস্টেমে প্রস্তাবিত এফফাইভ-জি’র উপযুক্ত সময় এখনই। ফাইভ-জি যুগে প্রবেশে হুয়াওয়ে ইন্টেলিজেন্ট অপটিক্স নেটওয়ার্ক স্ট্র্যাটেজি প্রস্তাব করেছে। এই কৌশল অপটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট ও অপটিক্যাল অ্যাকসেস ডোমেইনস এবং উদ্ভাবনী পণ্যসমূহ – অপ্টিএক্সট্রান্স, অপটিএক্সঅ্যাক্সেস ও অপ্টিএক্সস্টার সিরিজ চালু করার পথকে মসৃণ করে সর্বত্র বিদ্যমান অপটিক্যাল কানেক্টিভিটি তৈরির মাধ্যমে সহজেই এসব সেবার উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে।’