কোভিড-১৯ এর পেছনে চীনের মালিকানাধীন বিশ্বের প্রথম স্থানে থাকা টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সংযুক্তকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে’র প্রতি আঙুল তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
বাণিজ্যিক স্বার্থে ৫জি’র চাহিদা ও প্রয়োজন বুঝাতেই এই ভাইরাসের জন্ম ও বিস্তার ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সারাবিশ্ব আজ করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত। মানুষ যখন ঘরবন্দী। তখন প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রীয়, বাণিজ্যিক, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ব্যক্তিগত সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সংযুক্তির মাধ্যমে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রযুক্তি ছাড়া দেশ ও নাগরিক জীবন অচল। উন্নতি টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তির প্রয়োজন আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে মানুষ। ঠিক এমনটিই চেয়েছিলেন চীনের বাণিজ্যিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুওয়াও। গত কয়েক বছর যাবত তারা সারাবিশ্বেই বিলিয়ন বিলয়ন ডলার জলের মত ব্যয় করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
এর পেছেনে তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। এগুলো হলো- থ্রিজি ও ফোরজিতে বিনিয়োগের সুফল ঘরে তুলতে পারেনি মধ্য ও নিম্নস্তরের মোবাইল ফোন অপারেটররা। তাই তারা নতুন করে ৫জিতে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছিল না, গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা বোঝাতে ব্যর্থতা ও বিভিন্ন দেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও ডিভাইসের অপ্রতুলতা।
এবার করোনা মহামারীতে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তির ব্যবহার ৩০/৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপুল চাহিদা মেটাতে কোন কোন দেশ বিনামূল্যে তরঙ্গ বরাদ্দ দিয়েছে অপারেটরদের। বর্তমানে অপারেটররা সাইট ও এ্যাক্সেস তৈরীতে বিনিয়োগ করছে। ৫জি তে যেতেও চাচ্ছে কেউ কেউ। আমাদের দেশেই শুধু নয় অনেক দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই মহামারীর মধ্যেও উচ্চাকাঙ্খা প্রকাশ করে বলছেন, ৫জি’র দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে। দেশে গত মাসেই ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখে। ব্রডব্যান্ডে বেড়েছে ২২ লাখ। এতেই বোঝা যায় ৫জি’র প্রয়োজন ও চাহিদা কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিষয়টি সরকারের প্রতি তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তবে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি আদায় করা সম্ভব হবে।