নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দ্বিতীয় কিস্তির এক হাজার কোটি টাকা জমা দিল গ্রামীণফোন। আগামী ৩১ মের মধ্যে এই টাকা বিটিআরসিতে জমা দেওয়ার কথা জানানোর একদিন পরেই মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিরীক্ষা দাবির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই কিস্তির শেষ কিস্তির টাকা জমা দিয়েছে অপারেটরটি। বিটিআরসি অফিসে গিয়ে চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে পে-অর্ডার হস্তান্তর করেন গ্রামীনফোনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় বিটিআরসি ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত রায় মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খাঁনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও গ্রামীণফোন সিইও বকেয়া পাওনার এই চেক জমা দেয়ার তথ্য প্রকাশ করেন।
বকেয়া দাবির বাকি টাকা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, “উভয় পক্ষ একসাথে বসে একটি সিদ্ধান্তে আসা হবে। হিসাবে কম-বেশি হলে, গড়মিল থাকলে সঠিক তথ্য দিলে মেনে নেব। এখানে রি-অডিট করার প্রশ্নই আসে না।”
তিনি আরো বলেন, “বিটিআরসি চাঁদাবাজ না, আইন সংগত যা পাওনা তাই দাবি করা হয়। আর এটি রাষ্ট্রীয় অর্থ, জনগণের অর্থ। করোনা ক্রান্তিলগ্নে ১০০০ কোটি টাকা জমা দেয়ায় সরকারের উপকারে আসবে।”
সময়ের আগেই বিটিআরসিতে টাকা জমা দেওয়ায় গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বেলেন, “গ্রামীণফোনের বর্তমান সিইওর সাথে ভাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং রয়েছে এবং ভালোভাবে কাজ শুরু করা হয়েছে। যেসব এনওসি বন্ধ ছিল তার অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে এবং তা খুব দ্রুত এ অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।”
এসময় খুব শিগগিরই এয়ারটেলের নিরীক্ষা শুরু হচ্ছে জানিয়েছে বিটিআরসি প্রধান বলেন, “সব অপারেটরের অডিট করব।”
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “আইন মেনে চলা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছি এবং দ্বিতীয় কিস্তির চেক সময়ের আগেই আজ বিটিআরসিতে জমা দিলাম। প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার পরপরই বিটিআরসির কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়ে আসছি। আমাদের যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে।”
এর আগে ২৩ ফেব্রয়ারি বিটিআরসিতে ১০০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছিল গ্রামীণফোন। সব মিলিয়ে ২০০০ কোটি টাকা জমা দিল জিপি।