দুই হাজারেরও বেশি বিশ্লেষক; টেলিকম, ইন্টারনেট ও ফাইন্যান্স সহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে হুয়াওয়ের ১৭তম বার্ষিক গ্লোবাল অ্যানালিস্ট সামিট। অনসাইট ও অনলাইন দু’ভাবেই এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। একসাথে কাজ করে কীভাবে কঠিন সময়গুলোকে অতিক্রম করা যায়, সবার জন্য লাভজনক পরিস্থতির সুযোগ তৈরি করা যায় এবং কীভাবে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ডের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন সামিটে অংশগ্রহণকারীরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ডের ভিত্তিই হচ্ছে আইসিটি অবকাঠামো। আইসিটি খাত বেশ সম্ভাবনাময়। ২০২৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতি ২৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি খাতকে প্রতিনিধিত্ব করবে। ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ডের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, হুয়াওয়ে আইসিটি খাতের প্রতিকূলতার চেয়ে সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলোকেই বেশি দেখতে পাচ্ছে ।
সূচনা বক্তব্যে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান গুয়ো পিং গত এক বছরে বিভিন্ন বিষয়ে হুয়াওয়ের অভিজ্ঞতা ও ব্যবসায়িক ফলাফল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারিনি। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, আমাদের টিকে থাকতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে; তা সত্ত্বেও সকলের নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেছি।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিগত ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে হুয়াওয়ে ১শ’ ৭০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে বিশ্বজুড়ে ৩শ’ কোটিরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৫শ’ এর বেশি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৬০ কোটি গ্রাহককে স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহ করেছে। হুয়াওয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র হুয়াওয়েকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না পাশাপাশি যেসব গ্রাহক হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার ও সেবা গ্রহণ করছেন তাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।