করোনা বন্ধে অনলাইনেই মে দিবস উদযাপন করলো গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন। গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের উপদেষ্টা আতিকুজ্জামান মির্জার সঞ্চালনায় এবং জিপিইইউ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে শুক্রবার (১ মে) অনুষ্ঠিত অনলাইন আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ, উইমেন কমিটি জিপিইইউ প্রেসিডেন্ট সারমিন আক্তার ববি, জিপিইইউ নির্বাহী সদস্য রোকসানা পারভীন, ইমরুল কায়েস বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বি,জি,ডব্লিউ, এফ সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার এবং ইউনি,বি,এল,সি সেক্রেটারি মোস্তফা কামাল।
বৈঠকে সারমিন আক্তার ববি অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের বিশেষ করে গৃহকর্মীদের করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের সমস্যা এবং করণীয় হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রোকসানা পারভীন মহিলা শ্রমিকদের বিষয়ে এই মহামারী করোনার মধ্যে তাদের মজুরি এবং ঘরের সুরক্ষার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
ইমরুল কায়েস এই লকডাউন পরিস্থিতিতে মালিক পক্ষের আচরণ এবং তাদের দ্বায়িত্বশীলতার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, মালিকের স্বার্থেই শ্রমিককে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
মিয়া মাসুদ মে দিবসের গুরুত্ব এবং করোনার এই মহামারী পরিস্থিতিতে শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষা এবং মালিক শ্রমিক মিলেমিশে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে মালিকদের শ্রমিক ছাঁটাই বা লে-অফ এর নামে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুন্ন করে নয় বরং তাদের পাশে থাকার কথা বলেন। অনুরূপ ভাবে শ্রমিকদের কোম্পানির পাশে থেকে মালিকদের সহযোগিতা করার কথা বলেন।
ফজলুল হক বলেন, জীবন এবং জীবিকার স্বার্থে শ্রমিক মালিক একসাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে একে অপরের পাশে থেকে পরিস্থিতির উত্তরন ঘটাতে হবে।
বাবুল আক্তার, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বর্তমান করুন পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে বলেন গার্মেন্টস মালিকরা বর্তমানে অমানবিক আচরণ করছেন। কোন সমন্বয় ছাড়াই কারখানা চালু, বন্ধ এবং আবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করেই কারখানা চালু করেছে। মার্চ মাসের বেতন এখন পুরোপুরি সব শ্রমিকদের দেয়নাই গার্মেন্টস মালিকেরা। সামনে ঈদ। ঠিকমতো বেতন পরিশোধ না করলে আবারও শ্রমিক অসন্তোষের আশংকা রয়েছে।
মোস্তফা কামাল বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের জন্য আজ সারা বিশ্বে লকডাউন চলছে। ফলে কলকারখানা এবং উৎপাদন বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের আয়, খাদ্য ও নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। সুতরাং এখন রাষ্ট্রকেই শিল্প বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে হবে এবং শ্রমিকের আয়, খাদ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।