নীতিমালা না মানায় এনটিটিএনের সুফল থেকে গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়ন ও প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আরো নতুন লাইসেন্স প্রদানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে “টেলিযোগাযোগ সেবায় এনটিটিএন’র ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ : উত্তরণের উপায়” শীর্ষক আলোচনা সভায় এই পরামর্শ দেয়া হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। সভায় বক্তব্য রাখেন রবির ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক ড. কামরুজ্জামান, পিজিসিবি’র পরিচালক প্রকৌশলী এম. আশরাফ হোসেন, ফাইবার অ্যাট হোম’র রেগুলেটরী অ্যাফেয়ার্স ফারুক আব্বাসী, এমটব’র মহাসচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস. এম. ফরহাদ (অবঃ) প্রমুখ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. ইসরাত হাসান।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, এনটিটিএন লাইসেন্স নীতিমালার অনুসারে এনটিটিএন লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এনটিটিএন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা বা সেবা দিতে পারবেন না। বর্তমানে দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা যায় একই এলাকায় একাধিক কোম্পানি ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে জটলা তৈরি করেছে এবং জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করছে। এই জটিলতা নিরসন করাও এনটিটিএনের লাইসেন্স প্রদানের অন্যতম কারণ।