দেশজুড়ে বৃস্তুত ৯০০ ডিজিটাল সেবা ডাকঘরের মাধ্যমে তৃণমূল জনগোষ্ঠীর কাছে দ্রুততম ও নিরাপদে সেবা পৌঁছে দিতে ডাক অধিদপ্তরকে উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এজন্য ডাকঘরের বিদ্যমান জনবলের সাথে ১৮ হাজার উদ্যোক্তা সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকায় বিআইসিসি‘র হল অব ফেমে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত ডাক বিভাগের উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর- উর- রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, এটুআই প্রকল্পের পলিসি এক্সিকিউটিভ আনির চৌধুরী, ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, নগদ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ মিশুক এবং উদ্যোক্তাদের পক্ষে শাম্মী আক্তার ও তানভির আহমেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ৮৫০০ ডিজিটাল ডাকঘরে নগদ সেবা, নগদ সেবার সাথে রবির ৫ কোটি গ্রাহক অন্তর্ভূক্তি. জিপিওসহ ২০টি নতুন ডাকঘর এবং ১৮টি ডাকঘরের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যমান ইউনিয়ন ডিজিটাল ভিত্তিক সেবা যথেষ্ট নয়। মানুষের ডিজিটাল সেবার বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ডাকঘর একই সেবা নিয়ে কাজ করছে। এর সাথে ডাকঘরসমূহে মোবাইল ফিন্যান্স যুক্ত হচ্ছে। ডিজিটাল ডাক সেবায় আমরা ইতোমধ্যে একটা দৃশ্যমান অবস্থায় উপনীত হয়েছি।
ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা ডিজিটাল বাংলাদেশের সৈনিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি রূপান্তরের জামানায় উপনীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ তরুণ সমাজের জন্য উৎস্বর্গ করেছিলেন। শুন্য মাটিতে কিভাবে ফসল ফলাতে হয় তরুণরা তা জেনে ফেলেছে। এদেশের তরুণদের উৎপাদিত সফটওয়্যার এখন পৃথিবীর ৮০ দেশে রপ্তানী হচ্ছে।বাংলাদেশের তরুণদের বিস্ময়কর উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর।
তরুণ উদ্দোক্তাদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, যার চাকুরি করার মানসিকতা থাকে সে উদ্যোক্তা হতে পারে না।
তিনি স্টিভ জবসকে তাদের জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে সততা , নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সোনার চামিচ মুখে নিয়ে জন্ম নিলে ও উদ্যো ক্তা হওয়া যায় না। এই জন্য প্রয়োজন মেধার। বাংলাদেশের তরুণদের সেই মেধা আছে।
তিনি আরো বলেন তরুণদের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ ৭২ সালের বাংলাদেশ নয়, ৪৮ সাল থেকে ৭১ সালেরও নয়। ২০২০ সালের বাংলাদেশ পৃথিবীর এক বিস্ময় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।