দেশে ৯ কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল চাহিদার ৫০ শতাংশ মেটাচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ৯০ শতাংশই দেশে তৈরি হচ্ছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে ‘সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৯’ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও অ্যাসোসিও এর সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি, আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, বাক্য সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ওমেন আইটি ফোরাম সভাপতি রেজোয়ানা খান, ক্যাসপারস্কির পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের সফটওয়্যার বিজনেস হেড মিরসাদ হোসেন, আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার আতিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এখন মানব সভ্যতা সবচেয়ে বড় রূপান্তরের পর্যায়ে এসেছে। এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কী ঘটতে যাচ্ছে তা এখেনো আমাদের ভাবনার বাইরে। তাই আগামী ৫ বছরের প্রযুক্তি পৃথিবীকে কোথায় নিয়ে যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সভ্যতার মহাসড়কের নাম ইন্টারনেট। ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করলেই আমরা এই সভ্যতায় যেতে পারবো। এজন্যই আমরা ৫৮৭টি স্কুলে বিনা পয়সায় ওয়াইফাই ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমানে আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি এর ৮০ শতাংশের বেশি মোবাইলে। এরা ফেসবুক, গুগল ব্যবহার করে। তবে এটি সব নয়। প্রকৃত ইন্টারনেটের স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে ব্রডব্যান্ড। ৫জি মোবাইলের জন্য বলা হলেও ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের চেয়েও এর শক্তি বেশি।
মন্ত্রী জানান, শিগগিরি ওয়ালটন আগামী বছর আমেরিকায় এক লাখ মোবাইল রপ্তানি করতে যাচ্ছে। দেশেই মাদারবোর্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, কেবল প্রযুক্তি দিয়ে ইন্টারনেট নিরাপদ করা যাবে না। মানুষের সচেতনতা ছাড়া এটা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, এখন সময় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে জবাবদিহী করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনকে আরো শক্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই ফ্রান্স ফেসবুককে জরিমানা করেছে। আমাদেরও গুগল, ফেসবুক, টুইটারকে জবাবদিহীর আওতায় আনতে হবে। তবে শুধু আইন বা প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জনই যথেষ্ট নয়। সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আত্মরক্ষা রপ্ত করতে হবে।