ভার্চুয়াল নিরাপত্তায় পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করতে দেশে স্থাপিত সকল ক্যাশ সার্ভারের তথ্যও যাচাই বাছাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স’ প্রকল্পের অধীনে এই উদ্যোগ নিয়েছে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর।
ক্যাশ সার্ভারের কনটেন্ট যেন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেজন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, ইন্টারনেট গেটওয়ে এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের ক্যাশ সার্ভারের সঠিক তথ্য ও অবস্থান সম্পর্কে ধারণা প্রয়োজন।
প্রকল্পের পরিচালক রফিকুল মতিন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে গুগল, ফেসবুক, আকামাই এবং মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানির ক্যাশ সার্ভারের তথ্যও পৃথক ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইবার থ্রেট ডিটেকশন এন্ড রেসপন্স প্রকল্প পরিচালব ডঃ মোঃ রফিকুল মতিন ডিজিবাংলা-কে বলেন, মূলতঃ আমাদেরকে যেন আপস্ট্রিমে যেতে হয় না সে জন্য আমরা এই তথ্য চেয়েছি। আমরা তথ্যগুলো পেয়েও গেছি। এখন প্রয়োজনে আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভারগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করতে পারবো। পর্ণোসাইট ও জুয়ার মতো ক্ষতিকর সাইটগুলো পুরোপুরি বন্ধ করার সক্ষমতা অর্জন হবে।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ৩জিবি’র ওপরে ডাটা থাকলেই আবেদনের ভিত্তিতে গুগল’র মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্থানীয়ভাবে সার্ভার স্থাপনের অনুমতি মেলে। এসব সার্ভারের তথ্য সরকারের কাছে থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। এটা একদিকে যেমন শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে অন্যদিকে নিরাপত্তা দেবে। কেননা অনেক ক্ষেত্রে সরকার কোনো কনটেন্ট ব্লক করে দিলেও কোনো না কোনো ক্যাশ সার্ভারে সেটি থেকে যায়। ফলে দেশের ভেতরে সেটি পুরোপুরি বন্ধ হয় না। এই তথ্যটি সরকারের কাছে থাকলে এবং এর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা গেলে সহজেই তা মুছে ফেলা যাবে।
এছাড়াও কোনো কারণে যদি গুগল, ফেসবুকের কাছে থেকে তথ্য পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবেও এসব সার্ভার থেকে তথ্য পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে গুগল, ফেসবুকে দেয়া স্থানীয় বিজ্ঞাপনের একটি হিসাবও এই সার্ভারের ডেটা থেকে পাওয়া যাবে।