রবি গ্রাহকের খরচ বাড়ার সম্ভবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন (বামুগ্রাএ)। সংগঠনটি মনে করছে সেবার মান উন্নয়নের দিকে নজর না দিয়ে বরং খরচ বৃদ্ধির হুঙ্কার দেয়া হচ্ছে। আর এভাবেই টেলিযোগাযোগ সেবায় দেশে নৈরাজ্য চলছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বামুগ্রাএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার ও নিয়ন্ত্রক কমিশন একদিকে গ্রাহক ও অন্যদিকে অপারেটরদেরকে জিম্মি করে ফেলেছে। এভাবেই দেশের টেলিযোগাযোগ সেবায় বর্তমানে নৈরাজ্য চলছে।
গত ৫ নভেম্বর টেলিকম সাংবাদিকেদের সঙ্গে আলোচনায় রবি’র সিইও যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা অনেকাংশে সত্য হলেও তাদেরও অনেক দায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ কথা স্বীকার করার জন্য রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন সাহেবকে ধন্যবাদ। কিন্তু বর্তমান যে ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের মধ্যে সংকটের জন্য দায়ী নিয়ন্ত্রক কমিশন ও অপারেটররা, এটি দেশের গ্রাহকরা বিশ্বাস করে। বস্তুত চলমান পরিস্থিতিতে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
পাওনা আদায়কে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রক কমিশন এনওসি বন্ধ করার ফলে বিনিয়োগে অপারেটরদের যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা বাতিল করার দাবি জানান বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাওনা আদায়ের বিষয়টি যেহেতু আদালতেই সিদ্ধান্ত হবে তাই এ বিষয়ে আমরা এখনই কোন মতামত দিচ্ছি না।
তার মতে, ইতিমধ্যে গ্রামীণফোন কলরেটের মূল্য নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে। যেহেতু সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২ টাকা তাই জিপি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সর্বোচ্চ কলরেট আদায় করছে। সরকারের এ বিষয়টি দ্রুত সুরাহা না করলে খরচ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের দায় সরকার ও নিয়ন্ত্রক কমিশনকে নিতে হবে। গ্রাহকরা কোন পরিস্থিতিতেই খরচ বৃদ্ধির প্রস্তাব বরদাস্ত করবে না।