মোবাইলফোনে কথা বলা এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাতেও শুল্ক ও কর বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মোবাইলের পর এবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায়ও নতুন করে ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ভ্যাট দ্বিগুণ হলো।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।
দৈনন্দিন জীবনযাত্রার নিত্য ব্যবহৃত মোবাইলফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। আগে মোবাইলফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। এখন থেকে ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জে গ্রাহককে ৫৬ টাকার বেশি কর দিতে হবে।
অপরদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা এবং স্থানীয় ব্যবসায় ভ্যাটের হার ৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর ১০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই দায় বর্তাবেই গ্রাহকের কাঁধে।
ব্যাবসায়ীদের মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এক দেশ এক রেট প্যাকেজে ৫০০ টাকা প্যাকেজে ক্ষতি গুনতে হয়। তৃণমূলে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে গিয়ে একজন নতুন গ্রাহক সংগ্রহে প্রায় চার হাজার টাকা খরচ পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে আইএসপি ব্যাবসায়ে নতুন করে করারোপ, পরিচালন ব্যয় বাড়া এবং সর্বোপরী অসম ব্যবসায় পরিবেশে এসওএফ তহবিলের চাপ সব মিলিয়ে সেবার মানও ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আইসিটি খাতের মতো দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতেও চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশকে দেওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত পালন করতে গিয়ে দেশে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেলের করপোরেট কর বেড়ে দ্বিগুণ হলো। টিস্যু থেকে শিশু খাদ্যসহ শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ালো।