মাথায় কালো কাপড় বেধে মঙ্গলবার বসুন্ধরা আবাসিকের প্রবেশমুখে অবস্থিত বারিধারার জিপি হাউসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে চাকুরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তিন দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচির শেষ দিনে বঞ্চিত শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্ম সূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বগত ২ ডিসেম্বর থেকে চাকুরিচ্যুত শ্রমিকরা ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে লাগাতার কর্মসূচির পালন করে চলেছে। দাবিগুলো হল অবৈধভাবে চাকুরিচুত শ্রমিকদের চাকুরিতে পুণর্বহাল, সকল প্রকার আইনি পাওনা পরিশোধ এবং শ্রমিক নির্যাতনে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি জানানো।
কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা জানান, গ্রামীণফোন,বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসর ও মিথ্যা অভিযোগ এর নামে প্রায় ৩,৩০০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে এবং শ্রমিকের পাওনা ৫% লভ্যাংশের বিলম্ব জরিমানা পরিশোধে অবহেলা করে চলেছে। চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর কতিপয় কর্মকর্তা ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইউনিয়ন নেতারা অনৈতিক ও অমানবিক প্রক্রিয়া ব্যাবহার করে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করেছে। শ্রমিকরা এই অমানবিক কাজে জড়িতদের শাস্তির দাবি করে।
আজকের কর্মসূচীতে শ্রমিক নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ এর দোসর সি ই ও ইয়াসির আজমান সরকারের মন্ত্রী, এম পি, আমল-প্রশাসন ব্যাবহার করে দেশের সবচেয়ে লাভজনক কোম্পানিতে বিনা বাধায় দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বিচারে শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। দুর্নীতির পথে কোম্পানিকে পরিচালনা করে সরকারের শত শত কোটি টাকা ফাকি দিয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট এর রায় না মেনে ও হীন-স্বার্থে পুনরায় মামলা করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করে গ্রামীণফোন কতৃপক্ষ শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। একাজে তাঁদের সহযোগিতা করেছে চিহ্নিত স্বৈরাচারের দালাল যথা ফজলে নুর তাপস, মোস্তাফা জব্বার, তারানা হালিম,জুনাইদ পলক প্রমুখ। দেশের বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে, সমস্যা সমাধান না করে, আইনের বিধানকে পদদলিত করে একের পর এক মামলা দায়ের করে ন্যায়বিচার কে বিলম্বিত করে চলেছে। কর্মসূচী শেষে বক্তারা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির অব্যহত রাখার ঘোষণা দেন।