সেবার জন্য টেলিকম ব্যবসা; ব্যবসার জন্য নয় উল্লেখ করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী বলেছেন, বিটিআরসি এখন একটি প্রহসনের কমিশন। লাইসেন্সের জন্যেও পূর্বানুমোদন দরকার হয়। এখানে নিপোটিজমের সুযোগ রয়েছে। এনটিইএন এবং এমএনও বড় হয়েও সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায়। তারা সবকিছু একাই করতে চায়। সমন্বয় করে কাজ করতে চায়না। ফলে বাজারে ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের জন্য কঠিন।
গ্রাহকের আয় বাড়ানোর উদ্যোগ দিনে টেলিকম অপারেটর নিজেরাও লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
তিনি আরো বলেন, বিটিআরসি ট্যাক্স কালেক্টর মাত্র। ট্যাক্স কমালেই যে রাজস্ব বাড়বে তার প্রমাণিত কোন গবেষণ নেই। হ্যান্ডসেট লক করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের গাঁড় স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়ানো। তাই আমরা মোবাইল ঘর তৈরির উপর আরোপিত কল কমানোর প্রস্তাব করেছি।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় এই দাবি তোলা হয়। টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন দেওয়ান।
বাজারের উদ্ভূত পরিস্থিতির সমস্যা সমাধানে বিটিআরসিতে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ খোলার দাবি জানান টিআইএম নুরুল কবির। এছাড়াও অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে ও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে আইসিটি এবং টেলিকম খাতে। এজন্য কোয়ালিটি অব রেগুলেশন বাস্তবায়ন করা দরকার। এজন্য আমি ১০ চেয়ারম্যান এর উচিত এখন একটি পেপার তৈরি করা।
এছাড়াও বিনিয়োগের জন্য লাইসেন্স নিতে বা লাগে আরো একটু উন্মুক্ত করার প্রস্তাব দেন বাংলালিংকের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।