সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলার দায় নিতে চাচ্ছে না কেউ। কিন্তু দায়টা নেবে কে? সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এশিয়ার সর্বোচ্চ মাথাপিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী দেশ বাংলাদেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ফেসবুক ব্যবহারকারী। প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ফেসবুক, গুগল নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। তাছাড়া দৈনিক ১ হাজার এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে এ খাতে। যার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। অথচ বিশাল এ বিনিয়োগ জনস্বার্থ কিংবা রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে কোন ভূমিকা তো রাখছেই না উল্টো প্রতিনিয়তই দেশের মধ্যে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। যার ফলে ব্যক্তি-পরিবার কিংবা রাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মহিউদ্দিন আরো বলেন, গতকাল ভোলায় ফেসবুকের অপব্যবহার করার কারণে যে নির্মম হত্যাকান্ড ঘটেছে তা এই যোগাযোগ মাধ্যমের বিশৃঙ্খলার বহিঃপ্রকাশ। এখাতে শৃঙ্খলা আনতে ফেসবুকের যেমন উদ্যোগ নেই। তেমনি রাষ্ট্রীয় ভাবেও খুব একটা উদ্যোগ আজ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।
তার দাবি, গত ১৬ই অক্টোবর ৫জি সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে প্রযুক্তি খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে জনসচেতনতা গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত ১৯ তারিখে মাননীয় মন্ত্রীকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দুটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। প্রস্তাবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শর্তবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি নিরাপদ প্রযুক্তি জাতিকে উপহার দেয়া ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধে দেশব্যাপী জনসচেতনতা গড়ার আহ্বান জানানো হয়। এর উত্তরে মন্ত্রী জনসচেতনতা গড়া বা এ নিয়ে সভা সেমিনার করা মন্ত্রণালয়ের কাজ না জানালে তিনি প্রশ্ন রাখেন- আমাদের প্রশ্ন ভোলায় ঘটে যাওয়া ঘটনার দায় নেবে টা কে?
তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতের জন্মদাতা দেশ স্কটল্যান্ডে এখনো কোন ডিভাইস বা সিম ক্রয় করার সময় গ্রাহককে একটি অঙ্গীকারনামা দিতে হয়ে যে সে কি কাজে এটি ব্যবহার করবে। ঔষধের কাজ রোগ নিরাময় করা। তারপরেও কেন ঔষধের গায়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লেখা থাকে। আজ পর্যন্ত ফেসবুকের একটি অফিস বা কর্মকর্তা নিয়ে এ দেশে কেন নিশ্চিত করা গেল না। সরকারের কাছে আমাদের দাবী ফেক আইডিসমূহ দ্রুত সরিয়ে ফেলে প্রকৃত মতামত প্রদানকারীদের এবং সঠিক এনআইডি দ্বারা বা ফেসবুক ভেরিফাইড করার সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।