২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের জন্য সি-মি-উই ৬ এ যোগ দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মতি দিয়েছে এবং টেন্ডার-চুক্তি সব সময় মতো করবে।
সূত্রমতে, আগামী মাসে (নভেম্বর) কনসোর্টিয়ামের টেন্ডার উম্মুক্ত করা হবে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে টেন্ডার ড্রপিং হবে এরপর ইভ্যাল্যুয়েশন শেষে ওই বছরের মার্চের শেষ নাগাদ চুক্তি করে লাইন তৈরির কার্যক্রমে যাবে কনসোর্টিয়াম। অবশ্য সম্ভাব্য এই তারিখ দু’এক মাস কমবেশিও হতে পারে।
এদিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপের অঞ্চলের এই ষষ্ঠ কনসোর্টিয়ামের দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হবে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, কক্সবাজার হতে সিঙ্গাপুরের দিকে এবং কক্সবাজার হতে ফ্রান্সে দিকে ইন্টানেট পরিবহনের এই লাইনটি স্থাপিত হবে। লাইন দুটির মাধ্যমে ৫ টেরাবিট করে মোট ১০ টেরাবিট বা ১০ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেবে বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশের ৭০ মিলিয়ন ডলারের মতো খরচ হতে পারে বলে জানাগেছে।
অবশ্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রত্যাশা করছেন খরচ কিছুটা কমতেও পারে। তিনি জানান, ১৫টি দেশ বা অংশীজন যোগ দেয়ার কথা ঠিক হয়েছে। শেষ নাগাদ এখানে হয়তো হয়তো আরও দু’একটি দেশ বা অংশীজন যোগ দিতে পারে।কনসোর্টিয়ামে অংশীজন বেশি হলে খরচ কমবে। ১৫ জনের জন্য ৮ বা ৯ টা ফাইবার পেয়ার লাগবে। সেক্ষেত্রে অংশীজন যদি ২০টা হয় তাহলে এই ফাইবার পেয়ার লাগবে ১২টা। তখন খরচের বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে।