অপারেটর নয়, ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমো এবং ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভার স্থাপনের জন্যে অনুমোদন দেয়ার পক্ষে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। ইন্টারনেটের ওপর তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় এমন পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগ।
নিজেদের নেটওয়ার্ক প্রান্তে ইমো এবং ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভার বসানোর অনুমোদন চেয়ে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন মত দিয়েছেন ঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগ। কমিশনার মো. রেজাউল কাদেরের নেতৃত্বাধীন এই বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে সব ক্যাশ সার্ভার একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসলে তাতে করে ইন্টারনেটের ওপর সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
এদিকে বাংলাদেশে ইমো’র জন্যে ক্যাশ সার্ভার দেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্তের বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিটিআরসি’র সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে। বৈঠকে বিটিআরসি’র অডিট সমস্যার কথা তুলে ধরে গ্রামীণফোন-কে সার্ভার বসাতে অনুমতি না দেয়ার মত দেয় আইন বিভাগ। অপরদিকে বাংলালিংককে অনুমতি দেয়ার বিষয়েও সম্মতি দেয়া হয়নি।
এর আগে গত ৬ মে কমিশনের বৈঠকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, ইন্টারনেট গেটওয়ে এবং নিক্স অপারেটরদেরকে ফেসবুক, গুগল এবং শর্তসাপেক্ষে নেটফ্লিক্সের ক্যাশ সার্ভার দেশে বসানোর অনুমোদন দেয় বিটিআরসি। সেইপরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন এবং রবিকে ফেসবুক এবং গুগলের ক্যাশ সার্ভার বসানোর অনুমোদন দেয়া হয়। তবে এবার দুই অপারেটর আলাদা আলাদাভাবে বিটিআরসি’র কাছে আবেদন করলে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগ থেকে বিষয়টিতে আইন বিভাগের মতামত চাইলে তারা অনুমতি প্রদানের পক্ষে সায় দেয়নি।