চার মাসের মধ্যে বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মন্ত্রীর প্রশ্ন, “সারাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখ ফিক্সড ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি, ১৩ কোটি মোট ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি যার মধ্যে ১২ কোটি মোবাইল ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি রয়েছে। আমরা যদি বিটিসিএলের মাধ্যমে নতুন ৪ লাখ সংযোগ অ্যাকটিভ করতে পারি, তাহলে বিটিসিএলের গড়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় হবে। যদি ২০০ কোটিও যোগ করতে পারি, তাহলে বিটিসিএল কি লসে থাকে?”
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননে বিটিসিএলের টেলিফোন ভবনে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সেবা ‘জিপন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, “এক মাস ২২ দিন, এর মধ্যে আমি ১০-১২টা জেলা সফর করলাম। বিটিসিএলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যন্ত কথা বললাম। আমাদের যে টেকনোলজি তা দেখলাম। বিটিসিএলের যে মানবসম্পদ, যে প্রযুক্তি সক্ষমতা- তাকে যদি কাজে লাগাই, একসাথে যদি কাজ করি, আমার বিশ্বাস বিটিসিএলকে আমরা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারব।”
২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি মূল ‘ব্যাকবোন’ হবে মন্তব্য করে পলক বলেন, “আর এটাকে মানুষের সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হবে বিটিসিএল। বিটিসিএলকে আমরা একটা স্মার্ট, লাভজনক ও দক্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করব।”
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেছেন, বিটিসিএলকে আগামীদিনে একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং উদ্যোগগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই যেমন হাটহাজারীতে আর্থ স্টেশনের প্রাথমিক একটা সাইট নির্বাচন করা হয়েছিল। এটা আমি শুনলাম। কালকে জানতে পারলাম ইতিহাসটা। ১৫০ একর জায়গা যেটার হয়ত দাম প্রায় হাজার কোটি টাকার উপরে। এই জায়গাটা পড়ে আছে আজ ৭০ বছর ধরে। অথচ বিটিসিএল লস করেছে গত বছর ১৪৭ কোটি টাকা। তাহলে আমাকে বুঝান, মূল্যবান সম্পদ আপনি ব্যবহার করছেন না। ফেলে রেখেছেন।