গ্রামীণফোনের সঙ্গে সরকারের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আদালতের বাইরে সমস্যার নিরসনে একাধিকবার যৌথ সভা হয়েছে। শিগগিরি দীর্ঘদিনের ভুল বোঝাবুঝি নিরসন হচ্ছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা আদালতের বাইরে গ্রামীণফোনের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল সেটা নিরসনের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে শীগগিরই ভালো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।’
বকেয়া পাওনা নিয়ে বিরোধ নিষ্পিত্তির উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকার ও গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ পর্যন্ত একাধিকবার যৌথ সভায় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা চলেছে। তারাও এগিয়ে এসেছে, আমরাও এগিয়ে এসেছি। আমরা মোটামুটিভাবে কোনো এক জায়গায় সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।’
তবে কী ধরনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে জানাতে অস্বীকার করে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেখুন এটা যখন আমরা শেষ করে ফেলব তখন আপনাদের আমরা অবহিত করব। এই মুহূর্তে গ্রামীণফোনের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে সেটা এখন আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি। এটা এখন আপনাদের দেব না। এই তথ্য আপনাদেরকে দিলে আপনারাও কাজে লাগাতে পারবেন না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট জুলাইয়ে চালু করা যায়নি। জার্মানির একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সভাকে নিশ্চিত করেছেন এটি ডিসেম্বরের পরে যাবে না। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমআরপি পাসপোর্টের শেষের দিকে চলে এসেছি। ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত যে পরিমাণ এমআরপি পাসপোর্ট লাগবে সেজন্য ২০ লাখ লেমিনেশন ফয়েল সরাসরি ক্রয়ের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছি। এটি এমআরপি পাসপোর্টের শেষ সংস্করণ। ই-পাসপোর্ট এসে গেলে আমরা সবাইকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করব। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জুলাই মাসে ই-পাসপোর্ট চালু করার কথা থাকলেও যন্ত্রপাতি সেটআপসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে, এ জন্য সময় লাগছে।’