গ্রাহকদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিটিআরসি-তে একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন এবং অংশীজনদের ‘কাস্টমার কেয়ার সেন্টার’ স্থাপনের জন্য স্পেস বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। সোমবার নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ এর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিয়মকালে এই আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতির নেতৃত্বে রাজধানীর প্রশাসনিক জোন আগারগঁওয়ে বিটিআরসির নিজস্ব ভবনের চেয়ানম্যান দফতরে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা সাক্ষাৎকালে সাংগঠনিক ফেলো প্রফেসর ডক্টর এ কে এম রিয়াজুল হাসান, নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট শাহেদা বেগম, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ ও সদস্য রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে দায়িত্ব পালনকালে গ্রাহক সংগঠনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে কমিশনের কার্যক্রমে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সময়ে চেয়ারম্যানের সামনে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে বিটিআরসির নিজস্ব ভবনের একটি ফ্লোরে এমএনও অপারেটর, আইএসপি, এমএনপি সহ সকল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ার স্থাপন করার পাশাপাশি গ্রাহকদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে মোবাইল ইন্টারনেট ডাটার প্রাইস নির্ধারণে গণ শুনানির ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করা উচিত বলে মতামত দেয়া হয় বৈঠকে।
এ নিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে গ্রাহকের অভিযোগ নিস্পতির পাশাপাশি লাইসেন্সি প্রতিষ্ঠানসমূহের আবেদন জমা ও লাইসেন্স গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে ভুল ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক তৈরিতে বিটিআরসির অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত। কারণ দিনশেষে নেটওয়ার্ক দুর্বলতা বা ভোগান্তির জন্য দায় দায়িত্ব বিটিআরসির কাঁধেই উঠবে। এক্ষেত্রে বিটিআরসির এনওসি ছাড়া সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান এমনকি কোন মন্ত্রণালয় যাতে করে অনুমোদন দিতে না পারে। নেটওয়ার্ক ভোগান্তি, মিউট কল, কল ড্রপ এবং ভেস অপারেটরদের দৌরাত্ম্য বন্ধে কমিশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন জরুরি।