একসঙ্গে বাংলাদেশ সাস্টেইনেবলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছে টেলিকম খাতের দুই প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোন ও বাংলালিংক। শনিবার রাতে লা মেরিডিয়ান ঢাকায় জমকালো আয়োজনে উভয় প্রতিষ্ঠানের সিইওদের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহী।
ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগে গ্রামীণফোনের জিপি এক্সিলারেটর এবং জিপি একাডেমির জন্য গ্রামীণ ফোন সিইও ইয়াসির আজমানের উপস্থিতে প্রাপ্ত সম্মাননাটি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের হেড অব সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ফারহানা ইসলাম।
অপরদিকে ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের মাইবিএল সুপার অ্যাপে’র সাইক্লোন ট্র্যাকার এর জন্য প্রাপ্ত পুরস্কারটি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের সিইও এরিক অস। এসময় বাংলালিংক চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান তার সঙ্গে ছিলেন।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের সিইও সেহজাদ মুনিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
টেকসই এবং সামাজিকভাবে প্রভাবশালী উদ্যোগের জন্য তৃতীয় বারোর মতো ছয়টি কোম্পানি এবং তিনজন তরুণ মানবতাবাদীকে এবারের বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। এর মধ্যে বাংলালিংক দ্বিতীয় বারের মতো এই পুরস্কার জিতলো।
এদিকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব, হেড অব পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত এবং প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “অন্য সব বিজয়ীদের সাথে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকা অত্যন্ত আনন্দের। সমাজ, মানুষ ও বিশ্বের উন্নয়নে সংহতি গড়ে তুলতে এখানে আমরা সবাই টেকসই উন্নয়নে উৎকর্ষ অর্জনের উদযাপনে একত্রিত হয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “জাতি হিসেবেই আমরা এসডিজি নিয়ে আমাদের অঙ্গীকার পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ও পৃথিবীর দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধিতে এ মুহূর্তে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টাকে ও উদ্যোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং একসাথে কাজ করতে হবে। গ্রামীণফোনে আমরা সমাজের ক্ষমতায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের চেতনা লালন করি। কেননা, আমাদের বিশ্বাস, শুধুমাত্র বর্তমানের জন্যই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও আমাদের সুরক্ষা, টিকিয়ে রাখা ও উদ্ভাবনের দায়িত্ব নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোন এর জিপি অ্যাকাডেমি এবং জিপি অ্যাকসেলেরেটর লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে লক্ষাধিক তরুণদের জন্য ভবিষ্যতের শিল্পখাত উপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করে তারুণ্যের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। আপস্কিলিং প্ল্যাটফর্ম জিপি অ্যাকাডেমি দেশব্যাপী তরুণদের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে ভবিষ্যতের সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রস্তুত করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে, জিপি অ্যাকসেলেরেটর সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ধারণার বাস্তবায়নে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে, খাতসংশ্লিষ্ট পরিচিতি বৃদ্ধিতে এবং কর্পোরেট অ্যালায়েন্স তৈরিতে ভূমিকা রেখে আসছে, যাতে দেশের সেরা ব্যবসায়িক ধারণাগুলোর কার্যকরী বাস্তবায়নের মাধ্যমে সবার জন্য সুবিধাজনক ফল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। উভয় উদ্যোগই দেশের ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করতে এবং সম্ভাবনার বিকাশ ও উৎকর্ষ অর্জনে ভূমিকা রাখছে।