সর্বোনিম্ন করদাতা হিসেবেবাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের কারিগরি সেবা দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চীন ভিত্তিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। আর এর মাধ্যমে নানা নাটকীয়তার পর সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা সাশ্রয় করে পেখম মেললো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ।
সূত্রমতে, বিটিসিএল প্রধান কার্যালয়ে (বিটিসিএল) হুয়াওয়ের সঙ্গে যন্ত্রাদি সরবরাহের এই চুক্তিটি হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর। চুক্তিপত্রে বিটিসিএল’র হয়ে প্রকল্প পরিচালক মনজির আহম্মেদ এবং হুয়াওয় ব্র্যান্ডের তরফে চুক্তিতে সই করেন হুয়াওয়ে ইন্টারন্যাশনালের বিজনেস ডিরেক্টর চেন-শি ও হুয়াওয়ে টেকনোলোশিস বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার হু-ইওয়ে। এসময় বিটিসিএল ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) সঞ্জিব কুমার ঘটক, ডিএমডি মো. আনসার আলী ও ডিএমডি মো. জিয়াদুল আনাম, হুয়াওয়ে ইন্টারন্যাশনালের সল্যুশন ম্যানেজার শিয়াও লংগ্যাং এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশের অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর গো উয়ো ও অ্যাকাউন্ট রেসপন্সিবল মঈনুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি দরপত্রে জানা গেছে, আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন এবং নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) বা কার্যাদেশ দেওয়ার পর সর্বোচ্চ ২৮ দিনের মধ্যে চুক্তিবিষয়ক সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শর্তে সর্বনিম্ন কোনো সময়সীমা উল্লেখ ছিল না। যেহেতু আগেই দরপত্রের কারিগরি সব মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়, যথাযথ কারণে আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচনের কম সময়ের মধ্যেই দরপত্রের আর্থিক মূল্যায়নের সব কাজ শেষ করতে সক্ষম হয় সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, আর্থিক মূল্যায়ন অনুমোদন পাওয়ার পর ১৩ নভেম্বর বিটিসিএল পরিচালনা পর্ষদের ২১৬তম সভায় হুয়াওয়ের ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠানের সঙ্গে মূল্যায়নের কাজ সম্পন্নের কোন সম্পর্ক নেই। মূল্যায়ন কমিটি বিধি অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করেন। মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত ও পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে হুয়াওয়েকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) বা কার্যাদেশ দেওয়া হয়।