ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়াসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়াতে মামলায় না গিয়ে রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) গিয়ে সরাসরি অডিট আপত্তির মূল টাকার পুরো ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জমা দিয়েছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। এছাড়া টুজি রিনিউয়ালের ক্লেইমের আরও একটি কিস্তি অপারেটরটি পরিশোধ করেছে। সব মিলিয়ে পাওনার ১০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে অপারেটরটি।
এর আগে মূল টাকা পরিশোধে বাংলালিংককে ১০ দিনের সময় দিয়েছিল বিটিআরসি। বেধে দেয়া সময়ে টাকা পরিশোধ না করলে ব্যান্ডউইথ ক্যাপিংসহ আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভেবেছিল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা টাকা শোধ করলো বাংলালিংক।
এর ফলে বাংলালিংকের আরজি অনুযায়ী বিলম্বর ফি মওকুম নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হলো বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির কমিশনার (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) ড. মুসফিক মান্নান চৌধুরী। এখন অপারেটরটির দাবি বিবেচনার বিষয়টিও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রসঙ্গত, বাংলালিংকের কাছে অডিট আপত্তিতে সরকারের মোট পাওনা দাবি ৮২৩ কোটি ৫ লাখ ৬ হাজার ১৫৫ টাকা। এরম ধ্যে বিটিআরসির পাওনা ৮১১ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ১৭৩ টাকা। যেখানে এখন সবমিলে মূল পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে অডিট দাবির মূল অংক ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর
ইনফরমেশন সিস্টেমসসংক্রান্ত অডিটের বিলম্বিত ফি ৪৩০ কোটি টাকা। এই ফির জন্য বিটিআরসির কাছে বাংলালিংক সময় চেয়ে আবেদন করেছে।
এদিকে বাংলালিংকের কাছে টু–জির ভ্যাটসংক্রান্ত ২২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা পাবে বিটিআরসি। যার মধ্যে ১০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা কিস্তিতে শোধ করছে তারা। এ সঙ্গে বিলম্বিত ফি আছে ৪০৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলালিংক সব সময় অডিটের অর্থ পরিশোধের বিষয়টি সম্মিলিতভাবে সমাধান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বাংলালিংকের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান তাইমুর রহমান।