প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফেসবুক, রিলিস ও ইনস্টাগ্রামে অশালীন, অশ্লীল এবং সহিংস ভায়োলেন্স যুক্ত ভিডিও বন্ধ করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে লেখা চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ফেসবুকের রিলস ও ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে অশ্লীল ,অশালীন, কুরুচিপূর্ণ নগ্ন যৌনতার প্রদর্শন, রাজনৈতিক ভায়োলেন্স প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার সব ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ গত বছর মেটার রিলস যখন চালু হয় তখন মেটার এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের ইমাজিং মার্কেটের পরিচালক জর্ডি ফার্নেস বলেছিলেন, বাংলাদেশে ইনস্টাগ্রাম রিলস চালর ফলে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা আরও বেশি বিনোদনমূলক সৃজনশীল কন্টেন্ট খুঁজে পাবে। কিন্তু এই সকল কন্টেন্ট বাংলাদেশের সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার ও ইতিহাস এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এক মিনিটের শর্ট ভিডিওর নামে যা হচ্ছে তা কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে অপ্রাপ্ত, প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য ক্ষতিকর।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সচেতনতার বা তাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে কোন প্রকার ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করছে না উল্লেখ করে সংগঠনটি বলছে, ব্যবহারকারীদের অর্থ উপার্জনের লোভ দেখিয়ে তারা ভিউ বাড়িয়ে নিচ্ছে অন্তরালে তাদের বিজ্ঞাপন বাণিজ্য। বাংলাদেশ তাদের কোন কার্যালয় না থাকা এবং তাদেরকে ইমেইলে বিভিন্ন বিষয়ে উত্তর চাইলেও তারা জবাব দেয় না।
এমন পরিস্থিতিতে পর্নো ভিডিও কন্টেন্ট বন্ধের মতো এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধেও সরকারের শুণ্যসহনশীল নীতি আশা করছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে মেটার ফেসবুকেরই বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০৩ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। বিটিআরসির তথ্য মতে, আমাদের দেশে ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ৫২.৮ মিলিয়ন। কিন্তু পরোক্ষভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটির অধিক। বিভিন্ন তথ্য মতে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি পরিবারের অপ্রাপ্ত নাবালক শিশু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও বিশেষ করে রিলস ব্যবহারকারী। পরিবারের সবাই এ সকল নগ্ন অশ্লীল এবং যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ভিডিও দেখতে না চাইলেও দেখতে বাধ্য হচ্ছে।