দেশব্যাপী ১৭,০০০ টাওয়ারের বিস্তৃত নেটওয়ার্কে ২৫,০০০ ‘টেনেন্সি’র এক মাইলফলক অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ।
এ অর্জন বাংলাদেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি শক্তিশালী ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক অবকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে কোম্পানির দৃঢ় সংকল্পেরই প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জানিয়েছে, ২২ জুন, সাভারের বিএকএসপিতে মাইলফলক অর্জন নিয়ে অংশীজনদের নিয়ে উদাযাপন করেছে।
এ নিয়ে ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক বলেন, “দেশব্যাপী সংযোগের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখায় ২৫,০০০ টেনেসি’র এই মাইলফলক অর্জন শুধু ইডটকো বাংলাদেশ নয়, দেশীয় টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির জন্যও অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশব্যাপী অবকাঠামোগত সাইটগুলো দ্রুত স্থাপন করে দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে সংযোগহীন জনগোষ্ঠীকে সংযুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরো বলেন, “শেয়ারযোগ্য অবকাঠামোর মাধ্যমে আমরা টাওয়ার ডুপ্লিকেশন কমিয়ে আনা, এমএনও’দের এর গিগাবাইট প্রতি মূল্যহ্রাস এবং দক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষেবা নিশ্চিত করতে পারি। এছাড়াও এ উদ্যোগের ফলে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা যায়, যাতে নতুন টাওয়ার নির্মাণের বদলে বিদ্যমান টাওয়ারগুলোরই সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয়। সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন’ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভবিষ্যত সংযোগ ব্যবস্থার নতুন রূপ দিতে আমরা ইন্ডাস্ট্রি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করে যাচ্ছি এবং এ প্রতিটি পর্যায়ে আমরা টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করছি।”
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে এবং নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিতে ইডটকো দেশব্যাপী উন্নত, উদ্ভাবনী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। টেকসই অবকাঠামো বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতি হিসেবে মালয়াশিয়া-ভিত্তিক ইডটকো গ্রুপ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ বাঁশের তৈরি টাওয়ার, ‘হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার’, ‘স্প্যান প্রিস্ট্রেসড কংক্রিট টাওয়ার’ এবং ‘স্মার্ট পোল স্ট্রিট ফার্নিচার’ এর মতো উদ্ভাবনী ও পরিবেশবান্ধব সল্যুশনগুলোর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।