বাংলাদেশের পাঠানো ধনিয়া বীজ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানরত জাপানের কিবো মডিউলে ৬ মাস রাখার পর তা আবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই বীজ নিয়ে এবার অধিকতর গবেণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জীব বিজ্ঞানীরা।
এ মাসেই বীজগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি)। এনআইবি এর সম্মেলন কক্ষে বুধবার আয়োজন করা হয় ‘এশিয়ান হার্বস ইন স্পেস’ প্রকল্পের এই ‘স্পেস ট্রাভেলড করিয়েন্ডার (ধনিয়া) সিড’ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থাপতি ইয়াফেস ওসমান মহাকাশ থেকে পাঠানো ধনিয়ার বক্স খোলেন। পরে সেই বক্সে থাকা ধনিয়া গাছের কয়েকটি বীজ রোপন করেন তিনি। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এর স্পেস সিস্টেম ল্যাবরেটরীর প্রকৌশলী মিজানুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এনআইবির মহা পরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ’র তত্বাবধানে গবেষণাটি পরিচালনা করছেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চন্দ্র দাস ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুসলিমা খাতুন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও জাপানি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পরিচালিত প্রকল্প ‘এশিয়ান হার্বস ইন স্পেস’। এর অংশ হিসাবে প্রায় ২০০ ধনিয়া বীজ মহাকাশ ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। এই বীজগুলো পাঠানোর সময় একই জাতের কিছু বীজ এনআইবিতে রাখা হয়েছিল। এখন দুই পরিবেশে বীজের বায়োলজিকাল ও মলিকুলার কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। দেশের বীজ ও মহাকাশ থেকে আসা বীজগুলোর মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পেতে আরও দুই-তিন সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্থাপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘এশিয়ান হার্বস ইন স্পেস’ প্রকল্পটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত গবেষণার সুযোগ নিঃসন্দেহে এনআইবি’র চলমান গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমরা চাই আরও এমন গবেষণা করা হোক।’