ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে দেশে গ্রহণ এবং সেটি ছড়িয়ে দেওয়ার ২০২০ সালেই জাতীয় ব্লকচেইন কৌশল চূড়ান্ত করেছে সরকার। ব্লকচেইন বিষয়ে কাজ করতে হলে কারিগরী বিষয়ের পাশাপাশি এই কৌশলপত্র সম্পর্কেও একটা সম্যক ধারণা থাকা দরকার। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এবং মুনির হাসান ডট কমের যৌথ উদ্যোগে শনিবার অনুষ্ঠিত হল জাতীয় ব্লকচেইন কৌশলপত্র সংক্রান্ত দুই ঘন্টাব্যাপী অনলাইন সেমিনার ।
এ সেমিনারে কী-নোট স্পীকার হিসেবে আলোচনা করেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং জাতীয় ব্লকচেইন কৌশলপত্রের প্রধান লেখক ড. মোঃ সাদেক ফেরদৌস এবং ব্লকচেইন একাডেমি ফর রিসার্চ,এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বার্ড) প্রধান জনাব খন্দকার আতিক এ রব্বানী। সঞ্চালনা করেন যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির গবেষক এবং ইনসাইড ব্লকচেইন,বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির লেখক ড. নিয়াজ চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
আলোচনায় ড. মোঃ সাদেক ফেরদৌস বলেন, আগামী ২০৪০ নাগাদ ব্লকচেইন ভিত্তিক উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম দেখতে চান তিনি। আগামী দিনের প্রযুক্তি ভিত্তিক টেকসই উন্নয়নে ব্লকচেইন সহায়ক ভুমিকা পালন করবে বলে মনে করেন ড. নিয়াজ চৌধুরী। আয়োজনে উপস্থিত জনাব আতিক এ রব্বানী মনে করেন সঠিক গভর্নেন্স থাকলে ব্লকচেইন ভিত্তিক ক্রিপ্টো মুদ্রা প্রচলন সম্ভব এবং নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। সেমিনারে সম্ভাবনাময় ব্লকচেইন প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে এবং স্বচ্ছতা,নিরাপত্তা ও মানদন্ডের সঠিক ব্যখ্যা প্রদান করে বক্তারা সেশন শেষ করেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন,অনন্য প্রযুক্তির সাথে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নতুন ধারার এবং আধুনিক প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। ব্লকচেইন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারন সম্পাদক মুনির হাসান।
জাতীয় ব্লকচেইন কৌশল পত্রের এই সম্যক ধারনা ব্লকচেইনকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করবে বলেই মত দিয়েছেন গবেষকরা।