তারবিহীন বিদ্যুৎপ্রবাহ অথবা কৃষক ছাড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সেচ ও কৃষি ব্যবস্থা। প্রযুক্তির নানান চমক লাগানো উদ্ভাবনীর প্রদর্শনী বসেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প-গবেষণা পরিষদ চত্বরে। বৃহস্পতিবার ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলায় নিজেদের এমন উদ্ভাবন নিয়ে সারা দেশের ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ও বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্যরা।
মোট ৪টি শাখায় ভাগ হয়ে প্রতিযোগীরা বিজ্ঞানমেলায় অংশ নিচ্ছে। ষষ্ঠ-সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক শাখায়, নবম ও দশ শ্রেণীর খ শাখায়, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী গ শাখায় এবং ঘ শাখায় বিভিন্ন বিজ্ঞান ক্লাবের বিভিন্ন বয়সী সদস্যর এ মেলায় অংশ নিচ্ছেন। এখান থেকে প্রতিটি বিভাগের সেরা তিন প্রকল্পকে পুরস্কৃত করবে।
আগামী প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে গড়ে তোলার তাগিদ
সকালে বেলুন উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এসময় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটকিস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লাফিফা জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আগত অতিথিরা ঘুরে দেখেন মেলায় তরুণ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন স্টল ।
বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলীর সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আগামী প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে গড়ে তোলার তাগিদ দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, সে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হলো শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিজ্ঞানচর্চার কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের ছেলে মেয়েদের বিজ্ঞানমনষ্ক হতে হবে।
বিসিএসআইআর-এর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনে বলেন, ‘এ ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা যত বেশি বেশি আয়োজিত হবে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার আগ্রহ তত বাড়বে।’
গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে অভয় দিয়ে ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আবিষ্কারে অন্য দেশ এগিয়ে থাকলেও, সৃজনশীল ভাবনায় বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা।