বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী করতে ঢাকায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে ‘স্পুটনিক কসমসফেস্ট’। মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক উৎক্ষেপণের ৬৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার এলিফ্যান্ট রোডের এডিডিএল জেইনে শুরু হয় উৎসব। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, গ্রিন বাড নার্সারি স্কুল এবং রাশিয়ান হাউস ঢাকা’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘স্পুটনিক কসমসফেস্ট’-এর প্রথম দিনের ‘ছোটদের বিজ্ঞান উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উৎব হয়েছে এলিফ্যান্ট রোডের (বাটা সিগন্যাল–ভোজ্যতেলের গলি) এডিডিএল জেইনে। আর শনিবারের অনুষ্ঠান হবে আর কে মিশন রোডের গ্রিন বাড নার্সারি স্কুলে (রোজ গার্ডেনের উত্তর দিকে)। ওই দিন সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান।
প্রথমদিন এলিফ্যান্ট রোডের বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে দিনব্যাপী কার্যক্রমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মোট ৬টি সেগমেন্টে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়ে রকেটের মডেল তৈরি কার্যক্রম, মহাকাশ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন, অ্যাস্ট্রো-ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী, জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক বিজ্ঞান আলোচনা।
দিন শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ। উপস্থিত অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল ডভয়চেনকভ (Mr. Pavel Dvoychenkov), কবি আলফ্রেড খোকন, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিকরুল আহসান, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন এবং স্পুটনিক কসমসফেস্টের পরিচালক মশরুহুল আমিন।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর মহাকাশের উদ্দেশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্পুটনিক‘ উৎক্ষেপণ’ করা হয়। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এটি উৎক্ষেপণ করে। স্পুৎনিক ১-এর মহাকাশে প্রেরণের মাধ্যমে মহাকাশ যুগের সূচনা হয়। রুশ প্রকৌশলী সের্গেই কোরলভ স্পুৎনিক ১-এর নকশা প্রণয়ন করেন।