চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধের পাশাপাশি ছোটমাছ, অলিভ অয়েল, কালো জিরা, ডালিম ইত্যাদির উপকারিতা উল্লেখ থাকা উচিত বলে মনে করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
রবিবার (৭ মে ) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ৪৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষণরত ৪২জন বিসিএস চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত “বিজ্ঞানসম্মত খাদ্যাভ্যাস: চিকিৎসকদের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে এই অভিব্যক্তি তুলে ধরেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. রোমানা আফরোজ লুবনা।
সেমিনারে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, ঔষধ নির্ভরতা কমিয়ে মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে বিজ্ঞান সম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিষয়ে চিকিৎসকরা অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কালোজিরার বহুবিধ উপকারিতা সম্পর্কে ১৫০০ বছর আগে মহানবী (সাঃ আঃ সাঃ)যা বলেছেন, আজ তা’ বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত।
“ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, ছোট মাছ শিশুদের আইকিউ অর্থাৎ বুদ্ধির মাত্রা বাড়ায় যা’ ফ্যাটি এসিড ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অজস্র পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের মলা, ঢেলা, কাচকি ও পুটি মাছ বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে, এমন কথা চিকিৎসকরা ব্যবস্থা পত্রে লিখে দিলে জনস্বাস্থ্যের উপর এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে”- যোগ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর মহাপরিচালক।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী কোর্স পরিচালক ডা. মীর ওয়ালিদুল ইসলাম।
এর আগে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সৌরবাগান, বিমানজোন, টাইটানিক জাহাজ ও অন্যান্য গ্যালারিসমূহ চিকিৎসকরা পরিদর্শন করেন। তাদেরকে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ঐতিহাসিক বিবর্তনসমূহ উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।