জাতিসংঘের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সূচকে ১৪ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। আঙ্কটাডের ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস ইনডেক্স বা উন্নত প্রযুক্তি সূচকে ১৬৬টি দেশের মধ্যে শূন্য দশমিক ২৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১২৬তম। অথচ ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১২তম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, দক্ষতা, গবেষণা ও উন্নয়ন, শিল্প এবং আর্থিক ৫টি উপসূচকে এই অবস্থান প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থাটি। প্রতিবেদনে আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে ব্লকচেইন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) থেকে শুরু করে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রয়োগে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৮তম, দক্ষতায় ১৩১তম, গবেষণা ও উন্নয়নে ৬৭তম, শিল্পে ১৩৫তম এবং আর্থিক উপসূচকে ৯০তম।
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সূচকে বাংলাদেশ শুধু আফগানিস্তানের ওপরে। যথারীতি সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। তার র্যাঙ্কিং ৪৩তম, ২০২১ সালে ছিল ৪৬তম। এরপর শ্রীলঙ্কা আছে ৮৯ ও নেপাল ১০৬তম, ভুটান ১১৬তম, পাকিস্তান ১২৫তম এবং আফগানিস্তান ১৬৪তম।
তালিকার শীর্ষ দশে রয়েছে যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন এবং সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, হংকং ও বেলজিয়াম।
প্রতিবেদন বলছে, বিস্তৃত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, মহাকাশ, রোবোটিক্স, শক্তি, পরিবেশ, জৈবপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে শীর্ষে থাকার মধ্য দিয়ে চীন বিশ্বের টেকনোলজি সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়েছে। ড্রোন, যান্ত্রিক শিখন, ইলেকট্রিক ব্যাটারি, পারমাণবিক শক্তি, ফটোভোল্টাইকস, কোয়ান্টাম সেন্সর ও জটিল খনিজ নিষ্কাশনসংক্রান্ত প্রযুক্তিতে চীন রাজত্ব করছে।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটিজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ট্র্যাকারের হিসেবে, কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চীনেই অবস্থিত। এমনটিই বলছে। তুলনা করলে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র জটিল প্রযুক্তির মাত্র সাতটি ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে।