ডি-নথি লাইভের অধীনে এলো দেশের ৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা।
রবিবার আগারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মেলন কেন্দ্রে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের সামনে গ্রিন-ক্লিন ও সেইভ স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাধান দিয়ে স্মার্টক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা আমরা হয়তো শিগগিরি শুরু করবো। আপনারা তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ২০৪১ সালের লক্ষ্য ছুঁতে হলে আমাদের এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। একারণেই আমরা এখন ডি-নথি থেকে স্মার্ট নথিতে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। এআই, বিগডেটা এবং ব্লকচেইনসহ অন্যান্য যে ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি এখন ব্যবহৃত হয় তা ডিজিটাল নথির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে। পুরোপুরি কাগজমুক্ত অফিস ও ক্যাম্পাস গড়ে তুলেতে আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে মিতালী গড়তে সরকার এরই মধ্যে বিশ্বিবিদ্যালয় গুলোতে ইউনিবেটর স্থাপন করছে উল্লেখ করে আরো ৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এজন্য স্থান বরাদ্দ চান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে আমরা আরো ১০টি লো-কস্ট উইনিবেটর স্থাপন করতে যাচ্ছি। সরকারির পাশাপাশি কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিবেটর স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন ল্যাব।
অনুষ্ঠানে পলক জানান, আইসিটি বিভাগের এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত স্মার্টক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও বিজয়ীদের জন্য ১-৫ কোটি টাকা দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামগ্রিকভাবে সবার লক্ষ্য দেশের সেবা করা। তাই আইসিটি বিভাগ ক্রেডিটের পেছনে না দৌড়ে কাজের মধ্য দিয়েই আনন্দ খোঁজে। তারই ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ডি-নথি লাইভ তৈরি করে দিয়েছে আইসিটি বিভাগের এটুআই।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সদস্য ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন, শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, এবং এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মোহাম্মাদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া।