মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি’ (শিফট) পার্ক। পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বড় কেশবপুরে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জায়গায় গড়ে তোলা হবে এই স্থাপনা। এই পার্কের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ-পূর্ত কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অনুমোদন অনুযায়ী, ৫টি প্যাকেজে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করবে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড। আইসিটি খাতের বিকেএসপি হিসেবে বিবেচিত এই ইনস্টিটিউট নির্মাণে খরচ হবে ৪২৪ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটির ৩৯তম এই সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষ অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
সভা শেষে তিনি জানিয়েছেন, সভায় ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি’ এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ-পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি-এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’-প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-৫, ১৬, ১৭, ২৭, এবং ২৯ পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ২টি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪২৪ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৬ টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আরো জানান, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মোট ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর সবকটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা রয়েছে। অনুমোদন দেওয়া ৯টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৪০৫ কোটি ৪৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬৭ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯৩২ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫১৬ টাকা এবং এডিবি, জাইকা ও দেশিয় ব্যাংক ঋণ ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার ১৫১ টাকা।
এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের ডব্লিউপি-০৩ প্যাকেজের ডিএস-০৫ লটের পূর্ত কাজ ১ হাজার ২৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮১ টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট ভেঞ্চারে চীনের হিগো এবং বাংলাদেশের মীর আক্তার এই পূর্ত কাজ করবে।
তিনি জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক ‘কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেজ-২)’-এর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনআইজি কলসানট্যান্ট কোম্পানি লিমিটেডকে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৪ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ৬০১ ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।