এটুআই বিল নিয়ে আগামী সোমবার ১৬ মে আলোচনায় বসবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৫ সংগঠন। রোববার এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগে অনুষ্ঠিত অংশীজন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক মোহাম্মাদ শহীদুল হক সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া এবং ই-ক্যাব অর্থ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক বিষয়ে এটুআই প্রকল্প পরিচালক ডিজিবাংলা-কে বলেন, খসড়া আইনটির যে ভার্সনটি ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছিলো, এরপর কেবিনেটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নীতিগত সমর্থনের জন্য যেভাবে অনুমোদন হয়েছে সেটা পূনর্গঠন করা হয়েছে। এখন সে বিষয়ে আইটি ট্রেডবডিগুলোর মতামত নেয়া হবে। এজন্য আমরা আজ তাদেরকে সেকেন্ড ভার্সনটি তাদের দিয়েছি। সেটা নিয়ে আমরা আমাদের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে বৈঠক করবো। তারপর এটি চূড়ান্ত করে লেজিলেটিভ বিভাগে ভেটিং এর জন্য পাঠানো হবে। এর পর পার্লামেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি বিষয় চূড়ান্ত করবে।’
তাহলে কি অংশীজনদের মতামত ছাড়াই এটুআই বিল প্রণয়ন করা হয়েছে প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের খসড়াটি কেবিনেটে যায় দু’বার। একবার আইনটি এই আঙ্গিকে করা দরকার তা নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য। এরপর এই আঙ্গিকে একটি খসড়া করে মন্ত্রী পরিষদের পর্যবেক্ষণ সংযুক্ত করে তারপর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভেটিং এর জন্য পাঠানো হবে। সেটা হওয়ার পরে আবার সেটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে যাবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।’
বৈঠকের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া ডিজিবাংলাকে বলেন, আজ বৈঠকে গিয়ে জানলাম, ওয়েবসাইটে যেটি দেয়া হয়েছিলো সেটা পরিমার্জন করা হয়েছে। সেটি আমাদের পর্যবেক্ষণের জন্য আজ আমাদের দেয়া হয়েছে। এগুলো দেখে আগামী সোমবারের বৈঠকে আমরা সম্মিলিত ভাবে আমাদের মতামত জানাবো।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জন-বান্ধব সেবা ব্যস্থার উন্নয়নে তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়তায় সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে এটুআই। তৃতীয় দফায় বদলে এর নাম হতে যাচ্ছে এজেন্সি টু ইনোভেট। খসড়া আইনে দেখা গেছে, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটুআই প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুক্রমে বাংলাদেশের যে কোনো স্খানে বা বিদেশে শাখা খুলতে পারবে। এছাড়াও প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে কোনো কোম্পানি গঠন বা অন্য কোনো প্রতষ্ঠিান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের অনুমোদন দিতে পারবে। এর ১৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে এফবিসিসিআই, বেসিস ও ই-ক্যাব সভাপতি ছাড়ও থাকবেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একজন করে সরকার মনোনীত বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও শিক্ষাবিদ ।