অমর একুশে বইমেলা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে বলে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন বিকেল ৩টায় ভার্চুয়ালি বইমেলা উদ্বোধন করবেন। বিষয়টি বাংলা একাডেমিকে চিঠি দিয়ে নিশ্চিত করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে মেলা শেষ হওয়ার দিন এখনো ঠিক না হলেও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে বলে ধারণা করছেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান।
তবে এর আাগে বৃহস্পতিবার রাতে নগদ- রকমারি অনলাইন বই মেলার উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্যে দেশে ১৩ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরি না হলে গত রকমারি ডটকমের পক্ষ থেকে পাঠক-লেখকের এই ডিজিটাল সমাবেশ করা সম্ভব হতো না বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে ভাষার মাসেই বই-চিত্র নামে একটি পাঠক-লেখকের একটি ডিজিটাল ম্যাচমেকিং প্লাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, রকমারি সহ আমি অন্যান্য প্লাটফর্মকেও বই-চিত্র ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, যদি আমরা আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহি করতে না পারি তাহলে আমাদের সামনে ইরাক, সিরিয়া ও আফগানস্তানের মতো ধ্বংসস্তুপের অনেক নজির রয়েছে। তাই কীভাবে আমরা আমাদের অর্থনীতিক মুক্তিকে টেকসই করতে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে চাই।
পলক আরো বলেন, আমি মনে করি প্রতিটি নাগরিকের অন্তত পক্ষে একবার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়া উচিত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে তিনটি সম্পদ আছে যা দিলে কখনোই কমে না বরং বাড়ে তা হলো সম্মান, ভালোবাসা ও জ্ঞান। বইয়ের চেয়ে মূল্যবান কোনো উপহার আর নেই। তাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে তরুণ প্রজন্মকে বেশি বেশি বই পড়াকে উৎসাহিত করলেই তাদেরকে সৃজনশীল প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। কেননা বই পড়লে মনের দেউলিয়াত্ব দূর হয়।
ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রকমারি ডটকম চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ ও নগদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মিশুক এবং সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, এটা আমাদের একাদশ অনলাইন বই মেলা। এরইমধ্যে রকমারিতে প্রায় ৮০ হাজার লেখকের ২ লাখের বেশি বই আছে। ৮ হাজারের বেশি দেশ-বিদেশী প্রকাশনা সংস্থার বই আমরা ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশের এমন কোনো ইউনিয়ন নেই যেখানে রকমারি বই পৌঁছেনি। এমনটি দেশের বাইরেও পৌঁছেছি।
অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেয়া হয়, যারা নগদ-এ রকমারির বই কিনবে তারা ২০ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক পাবেন। নতুন বইতে মিলবে ২৫ শতাংশ ছাড়। আর বর্ণমালা অফারে প্রতিটি অর্ডারের সঙ্গে ‘রকমারি’র একেকটি বর্ণ উপহার দেয়া হবে। এই চারটি ‘বর্ণ’ মিলিয়ে দিতে পারলে তাদেরকে স্মার্টফোন উপহার দেয়া হবে। আর যারা রঙিন বর্ণ পাবেন উপহার হিসেবে পাবে একটি বাইক।