নিজেকে স্টার্টআপ মন্ত্রী হিসেবে দেখতেই বেশি পছন্দ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৃহস্পতিবার বাংলালিংক ইনোভেটরস প্রতিযোগিতার পঞ্চম পর্বের চূড়ান্ত আসরে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমি নিজেকে স্টার্টআপ মন্ত্রী হিসেবে ভাবতেও পছন্দ করি। তাই আজ আমি উপস্থিত বিচারকদের সামনে পিচ সেশনে ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর একটি ছোট্ট উপস্থাপনা পেশ করার অনুমতি চাইছি।’
বঙ্গবন্ধু ও স্টিভ জবস এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে দেশের উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম এবং স্টার্টআপ পরিস্থিতি নিয়ে ‘ভ্যালু অব ইনোভেশন’ শিরোনামের এই উপস্থাপনায় গত ১২ বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
ইনোভেশন, ইনভেনশন ও ডিসকভার এর মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য তুলে ধরে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নতুনত্ব, ও অভিবত্ব বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন পলক। এসময় তিনি টমাস আলভা এডিসন কীভাবে একটি ইলেকট্রি বাল্বকে উদ্ভাবনার মাধ্যমে শতভাগ ক্ষমতা বাড়িয়েছে সে বিষয়ের ওপর দৃষ্টিপাত করেন।
‘বয়স বা অভিজ্ঞতা নয় প্রতিভাই হচ্ছে সব’ উল্লেখ করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারিদে উদ্দেশ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বয়স, ধর্ম, শিক্ষা বা অর্থ কোনো ব্যাপার না; ব্যাপরটা হচ্ছে যদি মেধা থাকে, উদ্ভাবন থাকে, প্রজ্ঞা থাকে, অধ্যাবসায় থাকে তাহলেই তুমি পুরো বিশ্বটাকে জয় করতে পারবে।’
‘প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন’ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চালিকা শক্তি হবে মন্তব্য করে পলক বলেন, স্থাবর সম্পত্তি নয় এখন জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক অস্খাবর সম্পত্তির অধিকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই সমানের দিনে আরো বেশি নেতৃত্বের পর্যায়ে যাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঢেউ আমাদের কর্মসংস্থানে যে ধাক্কা দিতে যাচ্ছে সেখানে আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমরা স্রোতকে আটকাতে করতে পারবো না, তবে আমরা সার্ফিং করতে পারি।
বক্তব্যে ‘এখন ডাক্তার বা প্রকৌশলীদেরকে সাহায্য করছে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বা উদ্ভাবকরা’ জানিয়ে এ বিষয়ে সন্তানদের আগ্রহী করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি দেশে ইনকিউবেটর ধারণা বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগকে সহায়তা করায় বাংলালিংক মালিকানা প্রতিষ্ঠান ভিওনের শীর্ষ ব্যক্তি অগি ফাবেলা ও সিইও এরিক অসের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পলক।
এছাড়াও জেলা পর্যায়ে ৫১টি ‘এড্যুট্রেইনমেন্ট সেন্টার’ স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫জি’র জন্য ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলালিংক। সে লক্ষ্যে দেশজুড়ে তিন হাজার নতুন বিটিএস স্থাপন করছে প্রতিষ্ঠানটি। ডেটায় গুরুত্ব দিয়ে এরই মধ্যে ৩ দফা ইন্টারনেট গতিতে ওকলা সেরা হয়েছে।
বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে সেরা পাঁচ দল গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য উত্তীর্ণ হয়। সেখানে তারা টেলিকমখাতের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সম্বন্ধে নিজেদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। সবার উপস্থাপনা ও আইডিয়া মূল্যায়নের পর জুরি বোর্ড সেরা তিন দলের নাম ঘোষণা করেন। এবারের আসরে প্রথম স্থান অর্জন করেছে টিম হাসলারস এবং যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে টিম থ্রী মাস্কেটিয়ার্স ও টিম স্পেয়ারহেড।