ডিআরইউ অ্যাপস ও আইসিটি ল্যাব উদ্বোধন করতে গিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে আরো দুইটি উপহার দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুানইদ আহমেদ পলক। নিজে থেকেই সেখানে একটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং দেশজুড়ে ডিজটাল স্বাক্ষরতা ও সাইবার সুরক্ষা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ডিআরইউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মিট দ্য রিপোর্টাস অনুষ্ঠানে এই আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কড়তালির সঙ্গে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া এই উপহার বরণ করে নেন উপস্থিত সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা যত সুন্দর করে বলতে পারবেন, ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে পারবেন সেটা অন্যকেউ এতোটা সুন্দর করে করতে পারবে না। আমি আশা করবো আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি এমওইউ সই হবে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা যেন নিজেদেরকে সাংবাদিকতার পাশাপাশি দক্ষ আইটি পেশাজীবি হিসেবে তৈরি করতে পারেন এ জন্য আমরা ডিআরইউতে একটা শেখ রাসেল আধুনিক ডিজিটাল ল্যাব গঠন করতে চাই। যদি আপনারা অনুমতি দেন ও জায়গা দেন। তাহলে এখানে ২০টি ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া স্মার্টবোর্ডসহ এই পূর্ণাঙ্গ এই ল্যাব তৈরি করে দেবো।
একযুগে সরকারের আইসিটি বিভাগের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে পলক বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে শক্ত অবকাঠামো ভিত্তি গড়ে তোরার কারণে ১২ বছরের ব্যাবধানের দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫৬ লাখ থেকে ১২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে আইসিটি রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমাদের সরকারী ওয়েবসাইট ২০-২৫টার বেশি ছিলো না, আজকে বাংলাদেশে ১৫০০ সেবা আমরা অনলাইনে নিতে পেরেছি।
এর বাইরেও এক যুগে নেয়া ছোট উদ্যোগের বড় অবদানের কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে ডিজিটাল লিটারেসি প্রকল্প পরিচালক সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ অ্যাপ উদ্বোধন ছাড়াও আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে ডিআরইউ আইসিটি ল্যাব স্থাপনের জন্য ৫টি হাইকনফিগারেশনসহ মোট ১৫টি কম্পিউটার হস্তান্তর করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তিনি বলেন, একটি দরিদ্র দুর্নীতিগ্রস্থ রাষ্ট্রকে মাত্র ১২ বছরের ব্যবধানে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব, এটি সারা বিশ্বের কাছে একটি বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।