চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও চারটি খাত। এই খাতগুলোর পাশাপাশি চলতি অর্থবছর থেকেই ব্যক্তিপর্যায়ে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা।
তবে এই সহায়তা পাওয়ার জন্য আয় যে দেশে এসেছে, তার সত্যতা নিরূপণে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ছাড়পত্র লাগবে। ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ দেশে আসার ৩৬০ দিনের মধ্যে নগদ সহায়তার জন্য আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার প্রকাশ করা ওই প্রজ্ঞাপনে দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল ও বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশ, এমএস স্টিল পণ্য ও সিমেন্ট শিট রপ্তানির বিপরীতেও ৪ শতাংশ সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে এখন নগদ সহায়তাপ্রাপ্ত রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২-এ।
এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর দেশে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পরিচিত কার্ড বা ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে সে সময় ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর এক বছর আগে ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় অনলাইন মাধ্যম পেওনিয়ার প্রথমবারের মতো যে বৈশ্বিক গিগ অর্থনীতির সূচক প্রকাশ করেছিলো, যেখানে বাংলাদেশের স্থান ছিলো অষ্টম। ধারাবাহিক উন্নতির ধারায় এখন বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়।
এদিকে ২০ ডিসেম্বর আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।