শিগগিরি বিসিসি’র তৈরি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ‘বৈঠক’ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবে আইসিটি বিভাগ। একইসঙ্গে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এভাবেই বৈশ্বিক বাণিজ্যিক যুদ্ধ মোকাবেলায় আত্মনির্ভরশীল নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত থেকেই এই প্রস্তুতি চলছে বলেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
পলক বলেছেন, ফেসবুকের মতো যেসব সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব দেশদ্রোহী দেশ ও দেশের বাইরে থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অথবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আঘাত করছে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট রয়েছে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে।
তারপরও ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে যেই ১২ কোটি ইন্টারনেট ও ৪ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে এদের মধ্যে যে ৭০ শতাংশ তরুণ রয়েছে তাদেরকে সাইবার যুদ্ধে ডিজিটাল যোদ্ধা হিসেবে প্রতিক্রিয়াশীল দেশদ্রোহীদের পরাজিত করার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধ জয়ের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার গঠন করা হচ্ছে। সারা দেশে ব্যক্তি, পরিবার এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এছাড়াও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দিয়ে আমরা আমাদের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে তুলে আমরা আমাদের নাগরিকদের তথ্যের নিরাপত্তা দিতে চাই। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করতে চাই। পাশাপাশি বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অর্থ সাশ্রয়ে ফেসবুকের বিকল্প ‘যোগাযোগ’ প্লাটফর্ম তৈরি করছি। হোয়াটস অ্যাপের বিকল্প ‘আলাপন’ অ্যাপ তৈরি করছি। এগুলো সরকার একা করবে না। প্রাথমিক বিনিয়োগ করবে। সাথে সাথে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে ও সুযোগ করে দেবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার রাতে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ টিআইএম নুরুল কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা: নুজহাত চৌধুরী ও দ্য এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।
ভার্চুয়াল এই শোক সভায় সভাপতিত্ব করে বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনীর।