নির্বাচিত হয়েছে উদ্ভাবনী স্টার্টআপের খোঁজে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজনে শুরু হওয়া আইডিয়াথন প্রতিযোগিতার বিজয়ী ৫ উদ্যোগের উদ্যোক্তা।
এই উদ্যোক্তারাই উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন, ফান্ডিং, আন্তর্জাতিক পেটেন্টসহ কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক পাবার সহযোগিতা।
‘লেটস স্টার্ট ইউ আপ’ স্লোগানে মঙ্গলবার আইসিটি টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প এবং কোরিয়া সরকারের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন চুক্তিতে সই করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সহযোগিতায় ৯টি পৌরসভা ও একটি সিটি করপোরেশনে সরকারের ৪টি সেবার ডিজিটাল রূপান্তর শেষ হয়েছে উল্লেখ করে বাকি ২২৯ পৌরসভা ও ১১টি সিটি করপোরেশনেও এই সেবা চালু করতে অদূর ভবিষ্যতে কোরিয়ার সরকার সঙ্গে থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, মহেশখালীর মেতো দেশের প্রতিটি দ্বীপাঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা পাহাড়ি অঞ্চলে প্রযুক্তি সেবা দিতে কেপিসি স্টার্টআপ বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করেছে। কোরিয়ার সহায়তায় সহযোগিতা ও
অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং অন্টরপ্রেনিউর সাপ্লাইচেইন গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
অপরদিকে বাংলাদেশের তরুণদের মেধার প্রশংসা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন। তিনি বলেছেন, প্রত্যাশা করছি, আমাদের যৌথ অংশীদারিত্বের বড় সুফল আগামী বছরেই দেখা যাবে। তৈরি হবে নতুন নতুন সফলতার গল্প। আর সামনের দিনে এই সম্পর্ক বহুগুণে আরো প্রগাঢ় হবে।