স্মার্ট কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এবং রফতানি বাড়ানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব প্রাপ্তির হ্যাট্রিক মেয়াদের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানিয়েছেন তিনি। এসময় জীবনসঙ্গী আরিফা জেসমিন কনিকা তার সঙ্গে ছিলেন। সেখান থেকে দু’জনে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান তারা।
এর আগে তৃতীয় মেয়াদে ফের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় প্রধামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে পলক বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে চাই।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে রূপরেখা দিয়েছেন সেখানে চারটি স্তম্ভ আগেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই লক্ষ্য ধরেই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির মাধ্যমে স্মার্ট সিটিজেন গঠনই হবে আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। দ্বিতীয় জয় ভাই আমাদের সামনে যে ক্যাশলেস সোসাইটি বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট ইকোনোমিকে মূল স্তম্ভ হিসেবে আইডেন্টিফাই করে দিয়েছেন। তাই আমরা ক্যাশলেস সোসাইটা বাস্তবায়ন করতে চাই। এছাড়া স্মার্ট গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নে টোটাল পেপারলেস অফিস সার্ভিস নিশ্চিত করতে চাই। ইনক্লুসিভ স্মার্ট সোসাইটি গঠনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলতে চাই স্মার্ট বাংলাশে বাস্তবায়নের জন্য।
এক্ষত্রে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়ার কথা উল্লেখ করেন টেলিকম ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে আইসিটি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করতে এক্সপোর্ট ডাইভার্সিটিফাই করতে চাই। একইসাথে আইটি ইলেকট্রনিক্স ও সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি করতে চাই। পাশাপাশি দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতি বছর যে ২৫ লাখ স্নাতক বের হচ্ছে তাদের জন্য আইসিটি নির্ভর কর্মসংস্থান বাড়াতে চাই। এবার এই খাতে আরো ১০ লাখ কর্মসংস্থান করতে চাই।