প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আইনের সার্বজনীন প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থাকে গণমানুষের জন্য তৈরী করেছেন উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ইন্টারনেট ছিলো বলেই আইসিটি বিভাগও এটুআই ‘মাই কোর্ট’ অ্যাপস আগেই তৈরি করে রেখেছিলাম। প্রথমে অনেক আইনিজীবিরা এটা গ্রহণ করতে চাননি। এরপর প্রধানমন্ত্রী যখন ভার্চুয়াল কোর্ট অধ্যদেশ জারি কখন তখন ওই আইনজীবিরাই লন্ডন থেকে, সিডনি থেকে শুনানি করেছে। পরে এটা খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সুপ্রিমকোট, হাইকোর্ট ডিভিশন ও জেলা সবঅর্ডিনেট কোর্ট মিলিয়ে এই অ্যাপে ৪ লাখের বেশি মামলার শুনানি হয়েছে। এর মাধ্যমে বিচারব্যবস্থাকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) করেছেন ডিজিটাল; যেখানে ঘরে বসেই মামলা-মকদ্দমার শুনানি হয়েছে- যার সুফল আমরা করোনার সময়েই পেয়েছি।
এছাড়াও টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের সাহসী যোদ্ধা ডাক্তাররা যেভাবে করোনার মতো মহামারীর সময়ে ঘরে বসে দেশের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন এমনকি চিকিৎসা পরবর্তী সময়েও যেভাবে রোগীদের খেয়াল রেখেছেন সেজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতার জ্ঞাপন করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
রবিবার সিংড়া উপজেলাধীন সকল আইনজীবী ও চিকিৎসকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এমিন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬০, নাটোর-৩, সিংড়া আসনের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকারসমূহ পূরণ, মূল্যায়ন, পর্যালোচনা, আধুনিক, নান্দনিক, মানবিক, স্মার্ট সিংড়া বিনির্মাণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারিশ ও উপদেশ গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে আমি দল-মত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে সেবক হিসেবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। তারপরও আমার কোনো ভুল হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
এর আগে সকালে সিংড়া গোডাউন এলাকায় মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনী ইশতেহার ও উন্নত আধুনিক স্মাট সিংড়া বিনিমার্ণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় করেন পলক। এছাড়াও স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু পার্থকে একটি হুইল চেয়ার উপহার দেন।