দেশের প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে শিশু-কিশোররাই নেতৃত্ব দেবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ। এই প্রজ্ন্মকে নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে বুধবার থেকে ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বসছে স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল। পুণঃব্যবহার যোগ্য অনুষঙ্গ দিয়ে সাজানো হচ্ছে শিশু উৎসবের ইভেন্টটি।
সুবিধা বঞ্চিত ও বিশেষ শিশুদের নিয়ে চার দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। সমাপনী দিনে পথশিশুদের নিয়ে উদযাপন করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি।
প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিতব্য স্মার্ট চিল্ড্রেন কার্নিভালে থাকবে ১০টি জোন। প্রথম জোনে হবে ডিজিটাল এনিমেটেড চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। জোন-২ এ গেমিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা। বাকি জোনগুলোতে স্টোরি টেলিং, রিডিং জোন, ভিডিও ম্যাপিং, ঢাউস আকৃতির এনিমেটেড বই প্রদর্শনী, রণ পা’দের জোন, জায়ন্ট গেইম এবং রাইডিং জোন।
স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভালের আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
প্রতিদিন সকাল ১১টা-রাত ১১টা পর্যন্ত মেলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় বিপ্লব-সংস্কৃতিক বিপ্লব সাধনের প্রত্যয় জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের উদ্দেশ্য ও বিধেয় তুলে ধরে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ বান্ধব চিন্তার সমস্যার সাধানকারী উদ্ভাবনী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই উদ্যেশ্যে গতবছর হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ডট গভ ডট বিডি নামের একটি ওয়েবসাইট আমরা তৈরি করেছি। এটা দেখে তারা প্রধানমন্ত্রীর মতো মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়ে উঠেবে। উৎসবের মাধ্যমে পিসি স্মার্টফোনে দেখা ক্যারেক্টারগুলো বাচ্চারা চোখের সামনে দেখতে পারবে, ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারবে এবং আনন্দময় পরিবেশে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে।
এসময় প্রতিবছর এই কার্নিভাল করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ ছাত্র-ছাত্রী গড়ে তুলতে গত ১৫ বছরে ১৩ হাজার কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হয়েছে এবং আরো ১০ হাজার কম্পিউটার ল্যাব করা হবে বলেও জানান পলক।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, আইসিটি সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি রাজীব সামদানী ও নাদিয়া সামদানী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।